আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ। তারপরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ক্রাউড ফান্ডিং ক্যাম্পেন শুরু করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেত্রী অতিশি। তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমার টাকার প্রয়োজন। মোগট ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমার ক্রাউডফান্ডিং ক্যাম্পেনকে সমর্থন করুন। তাঁর সাফ কথা, আমরা শিল্পপতিদের কাছ থেকে অনুদান নেব না। আমরা জনগণের অনুদানের মাধ্যমে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।
অতিশি একটি লিঙ্ক প্রকাশ করে বলেন, যদি কোনও নেতা জনসাধারণের অনুদান ব্যবহার করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে গঠিত সরকার তার পক্ষে কাজ করবে। আর যদি তিনি শিল্পপতিদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তাহলে তাঁদের জন্য কাজ করবে সরকার।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আম আদমি পার্টি গঠনের পর থেকে দিল্লির সাধারণ মানুষ আম আদমি পার্টিকে সমর্থন করার জন্য এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য অনুদান দিয়েছেন। ২০১৩ সালেও, মানুষ নির্বাচনে সামান্য অনুদান দিয়েছিল। ২০১৩ সালে যখন আমি প্রথম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি, তখন আমি ঘরে ঘরে গিয়েছিলাম। লোকেরা আমাকে ছোট ছোট অনুদান দিয়েছিল। পথসভার পর, আমরা একটি চাদর বিছিয়ে দিতাম এবং লোকেরা তাতে ১০ টাকা, ৫০ টাকা এবং ১০০ টাকার নোট রাখতেন।
তিনি বলেন, আম আদমি পার্টির সততার রাজনীতি সম্ভব হয়েছে কারণ আমরা বড় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনুদান নিইনি। যেসব দল ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেয়, তাদের সরকার ব্যবসায়ীদের পক্ষে কাজ করে। আমরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শিল্পপতি বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা নিই না। যারা শিল্পপতিদের কাছ থেকে অনুদান নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তাঁদের সরকার কেবল তাদের জন্যই কাজ করে।
অতিশি বলেন, দিল্লিতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি সরকার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে। আর সাধারণ মানুষই আমাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য করে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আমি শত শত কোটি টাকার রাস্তা এবং স্কুল উদ্বোধন করেছি। যারা এই স্কুলগুলি তৈরি করেছে, তাদের কাছ থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা নিলে ফ্লাইওভার এবং রাস্তাগুলি ভেঙে যেত। তাঁর বক্তব্য, আজ থেকে আমি আমার নির্বাচনের জন্য একটি ক্রাউড ফান্ডিং শুরু করছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আমার ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। আমি দিল্লি এবং দেশের জনগণের কাছে আমাকে অনুদান দেওয়ার জন্য আবেদন করছি। আপনি নির্দিষ্ট লিঙ্কে গিয়ে অনুদান দিতে পারেন।
একই সঙ্গে সিএজি রিপোর্ট সম্পর্কে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি টাকা থেকে ক্ষমতা এবং ক্ষমতা থেকে টাকা সংগ্রহ করে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাদের অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজন নেই। তুমি হয়ত বন্ধুদের মাধ্যমে এত বেশি সংগ্রহ করছ যে ক্রাউড ফান্ডিং এর দরকার নেই। আমরা সৎভাবে বেতন নিয়ে সংসার চালাই। আমাদের কাছে এক পয়সাও দুর্নীতি নেই। এবারও আমরা দিল্লির জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।