• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

ওয়াকফ বোর্ড মামলায় আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খানকে জামিন দিল দিল্লি আদালত

ওয়াকফ জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। বৃহস্পতিবার ইডির পেশ করা অতিরিক্ত চার্জশিট খারিজ করে দিল আদালত। একইসঙ্গে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আমানাতুল্লার জামিন মঞ্জুর করে তাঁকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন বিচারক জিতেন্দ্র সিংহ ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, 'আমানাতুল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর প্রয়োজনীয় প্রমাণ থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমোদন নেই।'

ওয়াকফ জমি দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খান। বৃহস্পতিবার ইডির পেশ করা অতিরিক্ত চার্জশিট খারিজ করে দিল আদালত। একইসঙ্গে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত আমানাতুল্লার জামিন মঞ্জুর করে তাঁকে মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন বিচারক জিতেন্দ্র সিংহ ইডির সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, ‘আমানাতুল্লার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর প্রয়োজনীয় প্রমাণ থাকলেও, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমোদন নেই।’ এদিন ১ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে আপ নেতাকে জামিন দেওয়া হয়। বেকসুর খালাস দেওয়া হয় আমানাতুল্লা খানের দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম সিদ্দিকীকেও। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায়, মরিয়মের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকায় তাঁকেও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডে ৩৬ কোটি টাকার জমি দুর্নীতির মামলায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আপ বিধায়ক আমানাতুল্লাকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে ওয়াকফ বোর্ডে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির মামলাতেও তাঁর নাম জড়ায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ২৯ অক্টোবর একটি ১১০ পৃষ্ঠার অভিযোগ দাখিল করেছিল, যেখানে দাবি করা হয়, খান দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ পাচার করেছেন। তবে এই  বছরের এপ্রিলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পান তিনি। 
 
আপ বিধায়ক আপ বিধায়ক আমানাতুল্লা খানের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ ছিল, তিনি দিল্লির ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন নিয়মবিরুদ্ধভাবে অনেককে চাকরি দিয়েছিলেন। আর্থিক তছরুপের সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। এর ফলে সরকারকে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। গত পাঁচ বছরে তাঁর বাড়িতে একাধিক বার তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়। ইডির এই তদন্ত দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অধীনে সিবিআই-এর দায়ের করা একটি এফআইআরের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল।