স্থায়ী জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী

দিল্লি, ৩০ মে – অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ সাতদিন বৃদ্ধির আর্জি জানিয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই আর্জি বুধবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এবার স্থায়ী জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান। সুপ্রিম কোর্টের নিৰ্দেশে  ২১ দিনের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন তিনি। তবে ২ জুন তাঁকে তিহাড় জেলে ফিরে যেতে হবে, এমনই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।বৃহস্পতিবার নতুন আর্জিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবার স্থায়ী জামিনের আর্জি জানিয়েছেন। কেজরিওয়ালের আইনজীবী দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে বৃহস্পতিবার ওই আবেদন জানিয়েছেন।

সপ্তম দফার ভোটের দিনই শেষ হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ।এর আগে সপ্তাহের শুরুতে চিকিৎসার প্রয়োজনে তাঁর আরও সাতদিন জেলের বাইরে থাকা প্রয়োজন এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জামিনের আবেদনে জানিয়েছিলেন। অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে জরুরি শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। কিন্তু দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে মঙ্গলবার সেই মামলা পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তিনিই ঠিক করবেন, কবে কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি হবে। 
 
সেই আর্জি খারিজ হওয়ায় এবার পূর্ণ সময়ের জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। আপ সূত্রের খবর, শারীরিক অসুস্থতা ছাড়াও রাজনৈতিক কারণেও কেজরিওয়াল ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিন জেলের বাইরে থাকতে চাইছেন। কেজরিওয়ালের বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করার পর শুনানি শুরু হোক। আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করলে তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। শুনানির আগেই  গ্রেফতার করে জেলে আটকে রাখা  তাঁর অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ। 
 
এদিকে কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা করেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। মামলায় আম আদমি পার্টিকেও যুক্ত করেছে ইডি। তাদের বক্তব্য, শুধু দিল্রির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই নয়, দলের শীর্ষ নেতা হিসাবেও কেজরিওয়াল আবগারি মামলায় অভিযুক্ত।
 

কেজরিওয়ালের নতুন আবেদনের শুনানি কবে হবে সে ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট এখনও কিছু জানায়নি। সুপ্রিম কোর্টে এখন গ্রীষ্মকালীন অবকাশ চলছে। অবকাশকালীন বেঞ্চের কাছে আবেদন জমা করলেও তাদের আর্জি শোনার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করছে আইনজ্ঞদের একাংশ।