পার্সেলে আসার কথা ছিল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। তার বদলে এল এক ব্যক্তির পচা গলা দেহ। এমনই হাড় হিম করা ঘটনা ঘটল অন্ধ্রপ্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলায়। যখন ডেলিভারি আসে, তখন বাড়িতে ছিলেন না মহিলা। দরজার বাইরেই রেখে যেতে বলেছিলেন বাক্স। বাড়ি ফিরে সিল করা বাক্স খুলতেই আতঙ্কে সিঁটিয়ে যান ওই মহিলা। নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তিনি। ডেলিভারির বাক্স থেকে উদ্ধার হয় দেহ। মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্ষত্রিয় সেবা সমিতির কাছে বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছিলেন নাগা তুলসী নামে ওই মহিলা। প্রথমে ওই সমিতি তাঁকে বাড়ি তৈরির জন্য টাইলস দেয়। পরে ওই মহিলা আবার আর্থিক সহায়তার আবেদন করেন। দ্বিতীয় দফায় ওই মহিলাকে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম পাঠানোর কথা ছিল ক্ষত্রিয় সেবা সমিতির। বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলা একটি কাঠের বাক্স-সহ পার্সেল পান। পার্সেল খুলতেই স্তম্ভিত হয়ে যান তিনি। তিনি দেখেন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বদলে পার্সেলে রয়েছে এক ব্যক্তির পচা গলা দেহ। তার থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এরপরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা।
পশ্চিম গোদাবরী জেলার এসপি নঈম আসমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। দেহটি পরীক্ষা করে দেখার পর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন তিনি। পার্সেলে দেহের সঙ্গে ছিল একটি চিঠিও। সেই চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিটিতে লেখা রয়েছে, ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে, না হলে সমস্যায় পড়তে হবে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে৷ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ভীমভরম সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । ৪-৫ দিন আগে সম্ভবত তাঁকে খুন করা হয়েছিল। শুধু দেহাংশটুকুই পার্সেলে থাকায় মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। পশ্চিম গোদাবরী জেলার এসপি নঈম আসমি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে রাজি হননি৷ তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷ ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে৷ তদন্তের পরই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে ৷