তিন তালাক বিল নিয়ে তরজা তুঙ্গে

এআইএমআইএমের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি বিলটিকে 'বৈষম্যমূলক' বলে ব্যাখ্যা করেছেন। (Photo: IANS)

প্রথম মােদি সরকারের আমলে লােকসভায় তিন তালাক বিল পেশ হওয়ার পর বিরােধীদের আপত্তিতে সেটি রাজ্যসভায় আটকে যায়। দ্বিতীয়বার নরেন্দ্র মােদি ক্ষমতায় আসার পর শুক্রবার কংগ্রেস সহ বিরােধীদের বিরােধিতার মধ্যে সংসদের নিম্নকক্ষে মুসলিম মহিলা (বিবাহ সংক্রান্ত অধিকার রক্ষা) বিল বা তিন তালাক বিল পেশ করলাে শাসক পক্ষ।

বিলটি পেশ করার পর কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর প্রথম বিলের ধারা নিয়ে আপত্তি তােলেন। থারুরের সুরে সুর মিলিয়ে আপত্তি জানায় অন্যান্য বিরােধী দল। সরকার প্রস্তাবিত বিলে মহিলাদের ক্ষমতায়ন হবে না বলেও সওয়াল করে কংগ্রেস।

এআইএমআইএমের সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসি বিলটিকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তিন তালাক বিলে শাস্তির বিধান নিয়েই আপত্তি রয়েছে বিরােধীদের।


গত ডিসেম্বর মাসে লােকসভায় পেশ হওয়া তিন তালাক বিলে প্রস্তাব রাখা হয়েছিল যে, মুসলিম পুরুষরা তিনবার তিন তালাক বলে যেভাবে তাদের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ করেন তা অনৈতিক। এভাবে তালাক দিলে তিন বছরের জেল হেফাজত হবে অভিযুক্তর।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ লােকসভায় তিন তালাক বিল উত্থাপিত করে বলেন, ‘২০১৭ সালে আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরও তিন তালাক চলে আসছে। মহিলারা কী করবেন? আদালতের নির্দেশকে দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখবে’।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বিরােধীদের আপত্তি খারিজ করে সংসদে আরও বলেন, আইন তৈরি করাই সংসদের কাজ। ‘আইনের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ আদালতের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত’।

১২ জুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মুসলিম মহিলা (বিবাহ অধিকার রক্ষা) বিল, ২০১৯ অনুমােদন করে। ওই বিল আজ সংসদে পেশ করে সরকার। দ্বিতীয় মােদি সরকারের সফর শুরু হওয়ার পর আজই প্রথম সংসদের অধিবেশনে বিল পেশ হল।

সদ্য সমাপ্ত লােকসভা নির্বাচনের অন্যতম বিষয় হিসাবে মুসলিম সমাজে তিন তালাক প্রথাটিকে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। প্রতিশ্রুতি মতাে শুক্রবার তিন তালাক নিয়ে নতুন বিল সংসদে পেশ করে সরকার। সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত সদস্যগণের সংখ্যাধিক্যের সমর্থনে বিলটি পাশ হয়।

এদিন সংসদে ১৮৭ জন উপস্থিত ছিলেন। বিলের বিপক্ষে ভােট পড়ে ৭৪। বাংলার শাসক দল তৃণমূলের সদস্যরা এই বিলের বিরােধিতা করে এবং ভােটদান থেকে বিরত থাকে। ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি ভােটাভুটিতে যােগ দেয়নি।

অন্যদিকে এনডিএ শরিক জেডি (ইউ) তিন তালাক বিল সমর্থন করেনি। বিজু জনতা দলও এই বিল সমর্থন করার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেখায়নি।