ওয়েনাড়, ১ আগস্ট – কেরলের ওয়েনাড়ে মঙ্গলবারের ভূমিধসের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। নিখোঁজদের সন্ধান এবং উদ্ধারের কাজ এখনও চলছে বলে জানানো হয়েছে ওই বিবৃতিতে।পশ্চিমঘাট পর্বতের জঙ্গলঘেরা গোটা চারেক গ্রাম কার্যত নিশ্চিহ্ন। বাড়িঘর, কফির বাগিচা হাজার হাজার টন পাথর এবং কাদার স্তূপের নীচে।প্রবল বৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্যেই সেনাবাহিনী, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী , কেরলের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর , রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা এবং স্থানীয় জনগণ উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক ডাকেন। ভূমিধসে হারিয়ে যাওয়া চুরালমালা, মুন্ডাক্কাই, অট্টামালা এবং নুলপুঝা গ্রামের নিখোঁজদের সন্ধান এবং ভিটেমাটি হারানো বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সর্বদল বৈঠকে আলোচনা হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। বুধবার বিজয়ন বলেছিলেন, ‘‘আমাদের রাজ্য এমন বেদনাদায়ক দৃশ্য আগে কখনও দেখেনি।’’ বিজয়ন বলেন, ‘‘দু’দিনের অভিযানে মোট ১৫৯২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারী দলগুলি সমন্বয় রেখে অক্লান্ত ভাবে কাজ করে গিয়েছে বলেই এই সাফল্য মিলেছে।’’
ওয়েনাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট, বাড়িঘর প্রায় নিশ্চিহ্ন। স্থানীয় চার্চ, স্কুল-কলেজের যা অবশিষ্ট আছে, সবকিছুকেই ব্যবহার করা হচ্ছে দুর্গতদের আশ্রয়স্থল এবং চিকিৎসার জন্য। প্রতিকূল আবহাওয়াতেই চলছে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের বের করে আনার কাজ। এই কঠিন সময় ভারতকে সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে মালদ্বীপ। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শোকবার্তা পাঠিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়াও। ওয়ানড়ের ভূমিধসে শোকজ্ঞাপন করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বার্তায় লিখেছেন, ‘কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধসে রাশিয়া মর্মাহত। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতের পাশে রয়েছি। এই দুর্যোগে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে। প্রার্থনা করি, আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। উদ্ধারকাজ যেন নিরাপদ হয়।’ তাঁর এই শোকবার্তা এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে ভারতে অবস্থিত রুশ দূতাবাস।
ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘বন্ধু’ আমেরিকাও। মার্কিন বিদেশ দপ্তরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ‘কেরলের ওয়ানড়ে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা রয়েছে। যাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের যেন দ্রুত উদ্ধার করা হয়।’ ওয়ানড়ের বিপর্যয়ে শোকজ্ঞাপন করেছে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ইরানের দূতাবাস। এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, ‘আমরা কেরলের মানুষদের পাশে রয়েছি। এই ঘটনায় আমরা শোকস্তব্ধ।’