• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিহারে শিশু মৃত্যুর কারণ অ্যাসবেসটস ঘর, জানাল এইমস

বিহারে  এনসেফ্যালাইটিস এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যুর পিছনে অ্যাসবেসটস ঘরকেই দায়ী করলাে এইমস।

অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চলছে মুজফফারপুরের হাসপাতালে (File Photo: IANS)

  1. বিহারে  এনসেফ্যালাইটিস এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশু মৃত্যুর পিছনে অ্যাসবেসটস ঘরকেই দায়ী করলাে ‘দিল্পি অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস)-এর চিকিৎসকরা।

এইমস থেকে চিকিৎসকদের একটি দল বিহারে মুজফফরপুরে যান শিশু মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য। শিশু মৃত্যুর কারণ হিসাবে কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম অপুষ্টি, অ্যাসবেসটসে ঘর ও প্রশাসনিক গাফিলতি।

এইমসের চিকিৎসক দলের নেতৃত্বে থাকা ডা. হরজিত সিং ভাট্টি জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম ও অপুষ্টিই শিশু মৃত্যুর পিছনে অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন পাচ্ছে না এই শিশুদের পরিবার। যারজন্য অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা।

তাছাড়া এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্ত শিশুদের জাপানিজ এনসেফ্যালাইটিস টিকা দেওয়া হয়নি শিশুদের। প্রচণ্ড গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে ওআরএস পর্যন্ত মিলছে না। মূলত প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন এইমসের চিকিৎসকরা।

অ্যাসবেসটস ঘর কীভাবে শিশুদের শারীরিক অসুস্থতার কারণ হয়ে উঠতে পারে সে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যে সব শিশু এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত সেই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অ্যাসবেসটসের ঘরে প্রচণ্ড তাপের মধ্যে থাকতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুরা। রাতেও সেই তাপমাত্রা থাকছে।

মস্তিষ্কে প্রদাহের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ বছরের নীচে এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে। অধিকাংশ শিশুই মেটাবলিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত। শরীরে কোষের ভিতর শক্তি জোগায় সেই মিটোকন্ড্রিয়া সঠিকভাবে কাজ করছে না বলে দাবি চিকিৎসকদের। তবে পর্যাপ্ত লিচু খাওয়ার জন্য শিশু মৃত্যুর ব্যাখ্যা উড়িয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।