জন্ম কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তাঁর মেয়ে সানা ইতিজা। তিনি বলেছিলেন, এক মাস বন্দি থাকার পর তাঁর মায়ের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে পড়েছে। সেজন্যই তিনি মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জি মঞ্জুর করেছে।
গত ৪ আগস্ট কাশ্মীরের কয়েকশাে রাজনীতিকের সঙ্গে মেহবুবা মুফতি গ্রেফতার হন। তার পরদিন সংবিধানের ৩৭০ লােক করা হয়। রাজ্যে অশান্তির আশঙ্কায় মােতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক আধা সেনা। মােবাইল, ইন্টারনেট ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মাঝে কিছুদিন কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছিল। তখন কাশ্মীরের নানা প্রান্ত থেকে বিক্ষোভ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার কথা শােনা যায়। সেনাবাহিনীর পিলেট গানের গুলিতে কেটি ছেলে গুরুতর আহত হয়েছিল। বুধবার সে মারা যায়। তার ফলে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাশ্মীর। তারপর থেকেই পুরনাে শ্রীনগরে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বাড়ানাে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। গােয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই খবর ছড়িয়ে নতুন করে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হতে পারে। যদিও পুলিশ কাশ্মীরি যুবকের মৃত্যুর কারণ নিয়ে কিছু বলেনি।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশ্বে সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, পরিস্থিতি মােটামুটি ঠিক রয়েছে। খুব যে বড় গণ্ডগােল হচ্ছে, তা নয়। কিন্তু অনেকেই কেন্দ্রের দাবিকে মিথ্যে বলে তােপ দেগেছিল। অভিযােগ উঠেছিল, সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও কাশ্মীরে অবাধে খবর সংগ্রহ করতে পারছে না। ভূস্বর্গের হাসপাতালগুলিতে আহত মানুষের সংখ্যা দেখে অনেকেই প্রশ তুলেছিলেন, আদৌ কাশ্মীর শান্ত হয়েছে কীনা তা নিয়ে। কিন্তু এই যুবকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরনাে শ্রীনগরে, তাতে অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।