কয়লার ঘাটতি পৌঁছে গিয়েছে কিনারায়। সংকট এতটাই তীব্র যে, দু’দিনের মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি কয়লা না পেলে অন্ধকারে পুরো দিল্লি ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমনই সতর্কবার্তা এসেছে খোদ দিল্লির বিদ্যুত্মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের তরফে।
তিনি জানিয়েছেন, ‘ন্যূনতম এক মাসের কয়লা মজুত থাকা উচিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু দিল্লির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার মজুত একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। একদিনের মতো কয়লা মজুত রয়েছে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে। এর মধ্যে যদি কয়লা সরবরাহ না করা হয়, তাহলে ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতি তৈরি হবে রাজধানীতে।
‘রাজধানী দিল্লি যাতে অন্ধকারে ডুবে না যায়, সে কারণে দ্রুত কয়লা সরবরাহের আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকার। করোনা আবহে অক্সিজেনের মতোই কয়লা সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন দিল্লির বিদ্যুমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। সংকট তৈরি করে আবার নিজেরাই সেই সমস্যা সমাধান করে কেন্দ্র বাহবা পাওয়ার একটা চেষ্টা চালাচ্ছে।’ দিল্লির বিদ্যুমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আরও জানিয়েছেন, শহরের বাইরে বাওয়ানায় গ্যাস পরিচালিত ১৩০০ মেগাওয়াটের তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে ।
এই কেন্দ্রগুলি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে না এই সংস্থাগুলি। ফলে বিদ্যুতের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির উপর নির্ভর করতে হয়।
তাঁর অভিযোগ, যদি কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত এই বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে দু’দিনের মধ্যেই কয়লা সংকট চরম আকার ধারণ করবে, যার ফলে অন্ধকার হয়ে যাবে গোটা দিল্লি।