• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

এন ৯৫ মাস্ক নিয়ে সতর্ক করলো সরকার, নিয়ম না মানলে বিপদের সম্ভাবনা

স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, এন ৯৫ মাস্কের সঠিক ব্যবহার না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সংক্রমণ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভানা থাকে।

এন ৯৫ ফেস মাস্ক (Photo: iStock)

ভালভ রেসপিরেটর লাগানো আছে এমন এন ৯৫ ফেস মাস্কের ব্যবহার বন্ধ করতে বললো কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্য দফতরে চিঠি পাঠিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, এই ধরনের এন ৯৫ মাস্কের সঠিক ব্যবহার না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সংক্রমণ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভানা থাকে। এর বদলে সুতি বা ঘরে তৈরি মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

এন ৯৫ মাস্কের ভালভ রেসপিরেটর ভাইরাস হেঁকে নিতে পারে। তবে এই ধরনের মাস্ক স্যানিটাইজ করার বিশেষ পদ্ধতি আছে। সেটা না করলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন, ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিস রাজীব গর্গ। তিনি বলেছেন, ভালভ রেসপিরেটর দেওয়া এন ৯৫ মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলে বিপদ হতে পারে। তাই এই ধরনের মাস্ক না পরাই ভালো।

তিনি বলেছেন, নাক-মুখ ঢাকা থাকবে এমন ফেস কভার ব্যবহার করাই ভালো। মাস্ক বিভ্রান্তি এড়াতে প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যাঁদের সর্দি, কাশি, জ্বর হয়েছে বা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরই মাস্ক পরার প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়া মাস্ক ব্যবহার করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু যারা সুস্থ তাদের মাস্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।

পরে সেই নির্দেশিকা পরিবর্তন করে সরকার জানায়, বাইরে বেরলে ঘরে তৈরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। ডিজিএইচএস রাজীব গর্গ বলেছেন, যে ধরনের মাস্ক ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে, সেই ধরনের মাস্কই ভালো। সেটাই নিরাপদ। সে ক্ষেত্রে বাড়িতে তৈরি কাপড়ের মাস্ক বা ফ্যাব্রিক মাস্ক বারেবারেই পরিষ্কার করে নেওয়ার সুবিধা আছে।

তিনি জানান, ফ্যাব্রিক মাস্কের রঙ কেমন হবে সেটা বড় কথা নয়। নাক ও মুখ ভালোভাবে ঢাকা থাকলেই সংক্রমণ এড়ানো যাবে। প্রতিবার ব্যবহারের পরে মাস্ক অন্তত পাঁচ মিনিট গরম জলে ফুটিয়ে নিতে হবে।