এক দলিত বিধায়কের বিয়ে নিয়ে তােলপাড় পড়ে গেল তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে আসরে নেমে পরিস্থিতি সামাল দিতে হল।
তামিলনাড়ুর এআইডিএমকে বিধায়ক এ প্রভু তাঁর বয়স ৩৬ বছর। সােমবার তিনি বিয়ে করেছেন বছর উনিশের এক তরুণীকে। তিনি আবার মন্দিরের এক পুরােহিতের কন্যা। এই বিয়ে মেনে নেননি মেয়ের বাবা।
মেয়ে ৩৬ বছরের বিধায়ককে বিয়ে করেছে শুনেই তিনি আত্মহত্যার হুমকি দেন। এই নিয়ে তােলপাড় পড়ে যায় তামিলনাড়ুতে। আসরে নামে পুলিশ। তরুণীর বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযােগ দায়ের করা হয়। তারপর অবশ্য কিছুটা ঠাণ্ডা হন শ্বশুরমশাই।
ওই পুরােহিত স্বামীনাথন বলেছেন, আমি জাতের কারণে বিয়েতে আপত্তি জানাইনি। আমার আপত্তি বয়সের পার্থক্য নিয়ে।
কাল্লাকুরিচির বিধায়ক প্রভু সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমার যখন ৩০ বছর বয়স, তখন আম্মা (জয়ললিতা) আমাকে বিয়ের কথা বলেন। আমি তখন রাজনীতিতে এতটাই ব্যস্ত যে সে সবের সময় ছিল না। তারপর আম্মা মারা গেলেন। আমার মন ভেঙে গেল। ভেবেছিলাম বিয়েই করব না।
এআইডিএমকে বিধায়ক জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় এই সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কথা বলতে গিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তারপরেই আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। সব মিলিয়ে চার মাসের সম্পর্ক। তারপরেই বিয়ে সেরে ফেলেছেন এই যুগল।