হাথরাসে দলিত পরিবারের সঙ্গে যােগী প্রশাসন অনৈতিক ব্যবহার করছে: রাহুল

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে ফের উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনকে একহাত নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ও দলের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি অভিযােগের স্বরে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকদের জেলে ঢােকানাের বদলে ঘটনার শিকার দলিত পরিবারের সঙ্গে যােগী প্রশাসন অসংবেদনশীল ও অনৈতিক ব্যবহার করছে। 

গণধর্ষনের দু’সপ্তাহ পর মেয়েটি হাসপাতালে মারা যায়। ঘটনায় চারজন অভিযুক্ত। কংগ্রেস নেতারা সােশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে হাথরাস কন্যার ন্যায় বিচার চাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। 

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন অপরাধীদের সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দলিত পরিবারটিকে সহায়তা করার বদলে। এখন আমাদেরকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে এক পা করে এগােতে হবে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ন্যায় বিচার চেয়ে আমাদের চেঁচাতে হবে।’ 


তিনি বলেন, ‘আমি বুঝতে পারিনি, কেন আমাকে হাথরাস যাওয়ার পথে আটকানাে হয়েছিল। কেন আমাকে ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। পরে আমরা ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর থেকে নানাভাবে পরিবারটির ওপর হামলা চালানাে হচ্ছে। কোনও সরকারের কাজ নয়, অপরাধীদের সাহায্য করা। তার বদলে অপরাধীকে জেলে ঢুকিয়ে ঘটনার শিকার পরিবারটিকে ন্যায় পাইয়ে দেওয়াই সরকারের কর্তব্য। উত্তরপ্রদেশ সরকার তার নিজের কর্তব্য পালন করেনি। আমি এটুকু বলতে চাই, অপরাধীদের জেলে ঢুকিয়ে দলিত পরিবারটিকে সুরক্ষা দিন। আমাদেরকে সকারের ওপর চাপ তৈরি করে সমাজের পরিবর্তন নিয়ে আসতে হবে। দেশে মা ও কন্যাদের সঙ্গে যা ঘটছে তা অন্যায়।’ 

কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বলেন, ‘মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সত্য ঘটনা না শুনে, জোর করে মহিলাদেরকে ঘটনার জন্য দায়ি করে তাঁদের বদনাম করা হচ্ছে। লজ্জাজনক ও কাপুরুষােচিত ঘটনা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, দেশের মহিলারা কিন্তু বেশিদিন চুপ থাকবেন না। একজন ঘটনার শিকার হলে লাখ লাখ মহিলা ন্যায় বিচারের দাবি জানাবেন। আমরা এখন নিজেরাই সুরক্ষা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারব।’