কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাৎ লকডাউন ঘোষণা করায় দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন খুবই বিপদে পড়েছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। কারণ কোনও যাত্রীবাহী যান চলাচল করছে না বা কোনও তৈরি খাবারের দোকান খোলা না থাকায় মানুষ খুবই বিপদের মধ্যে পড়েছেন। কাজের খোঁজে যারা অন্য রাজ্যে গিয়েছেন তারা আরও বিপদে পড়েছেন। বাড়ি আসলে তারও কোনও উপায় নেই, কারণ বাস বা ট্রেন কিছুই চলছে না।
কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন অভিযোগের জবাবে রেডিও ও দুরদর্শন মারফত জানিয়েছে যে, সরকার সাধারণ মানুষ বিশেষত দরিদ্র মানুষ ও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষদের জন্য অতিরিক্ত চাল বা গম, এবং অতিরিক্ত হিসেবে ডালও দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পক্ষে আরও জানানো হয়েছে, জমায়েত বা মানুষে মানুষে সংস্পর্শে আসা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া অন্য কোনও ব্যবস্থা আর করার নেই সংক্রমণ ঠেকানোর।
কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়ানোর জন্য সরকার কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই হঠাই লকডাউন ঘোষণা করায় সবচেয়ে অসুবিধায় পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন। কোন তৈরি খাবারের দোকান খোলা না থাকায় তারা কোথাও খাবার কিনেও খেতে পারছেন না। ভিন রাজ্যে থাকা বিভিন্ন দিন মজুরি করা মানুষ এর ফলে খুবই বিপদে পড়েছেন বলে সমাজকর্মী সংগঠনের পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে।
এছাড়া সরকারি ত্রাণমুলক ঘোষণা মতো সামগ্রি কোথাও এখনও পৌঁছায়নি। কবে পৌছবে তারও কোনও খবর কেউ দিতে পারছেনা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে এব্যাপারে তাদের কাছে কোনও খবর নেই বলে জানানো হচ্ছে। এমন চলতে থাকলে লকডাউনের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন একেবারে অনাহারে অর্ধাহারে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সরকার ছাড়া কোনও বেসরকারি সংস্থার পক্ষে এমন বিপুল ও বিস্তারিত জায়গায় সমস্যা সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও তা কার্যকর হতে হতেই মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯১৮। মৃতের সংখ্যা ২১ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।