গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগেই বিপদের গন্ধ পেয়ে ওই মহিলার জীবন রক্ষা করলেন গাড়ির চালক। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই ওই অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়।আগুন অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তেই ভিতরে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধ্যায় এক গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন চালক। ধোঁয়া চোখে পড়তেই অ্যাম্বুলেন্স থামিয়ে তিনি দ্রুত ওই মহিলা এবং তাঁর বাড়ির লোকজনকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেন। এর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সে এবং বিস্ফোরণ ঘটে। মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের দাদিওয়ারা সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, রাস্তার মাঝখানে দাউদাউ করে জ্বলছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। তারপর ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা।এলাকার মানুষ দেখতে পান অ্যাম্বুলেন্সের আগুনেই ফুলকি ছড়িয়ে পড়ছে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের মানুষ ছুটে আসেন উদ্ধারকাজে। তারা এসে দেখতে পান রাস্তায় দাঁড়িয়ে ওই গর্ভবতী মহিলা এবং গাড়ির চালক। সবাই যখন আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত, সেই সময়ে অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে থাকা অক্সিজেন সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হয়। স্থানীয় মানুষের দাবি, বিস্ফোরণের এতটাই জোরে হয় যে আশপাশের কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে যায়। অ্যাম্বুলেন্সে বিস্ফোরণের ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
চালকের কাছ থেকে জানা যায়, ওই মহিলাকে এরন্ডল সরকারি হাসপাতাল থেকে জলগাঁও জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তিনি ইঞ্জিন থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেই গাড়ি থামিয়ে দেন এবং ওই মহিলাকে বের করে আনেন। রোগীর বাড়ির লোকেরাও নেমে এসে দূরে পালিয়ে যান। এরপরেই প্রচন্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্স পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
দমকল এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দুর্ঘটনার কারণে জাতীয় সড়কে ব্যাহত হয় যান চলাচল। তবে চালকের উপস্থিত বুদ্ধি এবং তৎপরতায় বেঁচে যান মহিলা ও তাঁর গর্ভের সন্তান-সহ পরিবারের লোকেরা।