জগন্নাথের কৃপায় প্রাণহানি ঘটেনি, দানা-দুর্যোগে মন্তব্য ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা প্রথম থেকেই ছিল ওড়িশা জুড়ে, ছিল প্রাণহানির শঙ্কাও। তবে শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তিনি জানান, ‘দানা’র প্রভাবে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি। তবে রাজ্যজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বহু এলাকা।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার মধ্যস্থলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। মধ্যরাত থেকে আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত চলে ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া।

‘দানা’র ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ নেন মোহন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।’


মোহনচরণ জানান, ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলি থেকে দুর্যোগের আশঙ্কায় প্রথমেই ৬ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ৬ লক্ষ্য মানুষের মধ্যে ছিলেন ৬০০০ সন্তানসম্ভবা। তাঁদের তড়িঘড়ি পাঠানো হয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হওয়া ১৬০০ জন প্রসূতি সন্তান জন্ম দিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে ওড়িশা সরকারের পক্ষ থেকে।

সাইক্লোনের জেরে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির আশঙ্কায় ওড়িশা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮৩২২টি সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে দুর্গতদের অন্তত ৬০০৮টি সেন্টারে রাখা হয়।

মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি জানান, ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ র মোকাবিলায় পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে।