ঘূর্ণিঝড় দানা ও প্লাবনে ওড়িশায় ৩৫.৯৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত

ওড়িশার একটি ত্রাণ শিবিরে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'য় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় দানা এবং তার পরবর্তীতে অতিবৃষ্টির ফলে ওড়িশার ১৪টি জেলায় মোট ৩৫.৯৫ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী সুরেশ পুজারী রবিবার এক প্রেস কনফারেন্সে এই তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, ৮,১০,৮৯৬ জন মানুষকে ৬,২১০টি সাইক্লোন রিলিফ সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে কেন্দ্রপাড়া, বালাসোর এবং ভদ্রক উল্লেখযোগ্য। রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ, ১,১৭৮টি সাইক্লোন রিলিফ সেন্টারে স্থানান্তরিত মানুষদের জন্য রান্না করা খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। প্লাবনের ফলে যাঁরা ঘর হারিয়েছেন, তাঁদেরকে ত্রিপল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় দানা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আঘাত হানার পর ১,৬৭১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০৮টি ব্লক সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ওড়িশা সরকারের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ৫,৮৪০টি ঘর সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মন্ত্রী সুরেশ পুজারী আরও উল্লেখ করেন ‘প্রতি দুর্যোগের সময় মানুষ ঘর হারান এবং ক্ষতিপূরণ পান। এবার, আমরা এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান করতে চাই এবং তাঁদেরকে পর্যায়ক্রমে পাকা বাড়ি প্রদান করতে চাই।’
ওড়িশা সরকার প্রাথমিকভাবে সাইক্লোন এবং প্লাবন-প্রবণ এলাকার কাঁচা বাড়িগুলোর একটি জরিপ পরিচালনার পরিকল্পনা করছে। মন্ত্রী আরও জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পর ব্যাপক ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে কত কাঁচা বাড়ি রয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে ওড়িশা সরকারের।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে একটি দল সম্ভাব্য ক্ষতি পর্যালোচনা করতে ওড়িশা সফর করবে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ রিলিফ কমিশনার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষতির মূল্যায়ন রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে যাতে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে সহায়তার আবেদন করতে পারে।