• facebook
  • twitter
Tuesday, 14 January, 2025

জুড়ে গেল কাশ্মীর এবং লাদাখ, সোনমার্গে জেড মোড় টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

শ্রীনগর ও লেহ-র নিরাপদ যাত্রাপথ এবং সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো মজবুত করতে সোমবার সোনমার্গে জেড মোড় টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

শ্রীনগর ও লেহ-র নিরাপদ যাত্রাপথ এবং সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো মজবুত করতে সোমবার সোনমার্গে জেড মোড় টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।

 
কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায় নির্মিত এই টানেল বিভিন্ন দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জোজিলা টানেল প্রকল্পের প্রথম ধাপ হিসেবে জেড-মোড় টানেল শ্রীনগর ও সোনমার্গের মধ্যে সারা বছর যোগাযোগ রাখতে সাহায্য করবে। শীতকালে প্রবল তুষারপাতের জন্য বাকি উপত্যকার সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোনমার্গ। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে এই টানেলের মাধ্যমে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই টানেল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শ্রীনগর থেকে অল্প সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে কার্গিল হয়ে লেহতে। শ্রীনগর ও সোনমার্গের মধ্যে নির্মিত এই টানেল কাশ্মীরের পর্যটন ক্ষেত্রের পাশাপাশি লাদাখে সেনাবাহিনীর যাতায়াতের ক্ষেত্রেও বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে।  
কাশ্মীর উপত্যকার সঙ্গে লাদাখকে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে এই টানেল। এছাড়াও সামগ্রিক পরিকাঠামো শক্তিশালী করতে এবং সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।  উন্নত হবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। খুব সহজেই বাধা বিপত্তিকে এড়িয়ে লাদাখের একাধিক সেনাঘাঁটিতে প্রতিরক্ষা সামগ্রী-সহ সেনাদের জন্য খাবার ও ওষুধপত্র পৌঁছানো সহজ হয়ে যাবে।
 
এই টানেল উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গে সোনমার্গ সারা বছর পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।  সারাবছর যোগাযোগ রাখা যাবে শ্রীনগর ও সোনমার্গের মধ্যে। শীতের মরশুমে পর্যটকদের  জন্য উন্মুক্ত থাকবে সোনমার্গের জনপ্রিয় স্কি রিসর্ট। কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে আমূল পরিবর্তন  ঘটাতে এই জেড মোড় টানেল নির্মাণে খরচ হয়েছে ২,৭০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের মোট দৈর্ঘ্য ১২ কিলোমিটার। এর মধ্যে সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬.৫ কিলোমিটার। এই টানেলের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৬৫০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত। 
 
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে খুলে যাবে কাশ্মীরের জোজিলা পাসও। যার মাধ্যমে লাদাখের সঙ্গে শ্রীনগরের পথের দূরত্ব ৪৯ কিলোমিটার থেকে কমে নেমে আসবে ৪৩ কিলোমিটারে।