দিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি – দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে শুক্রবারের পর আবার শনিবার পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শনিবার সকালে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। তাঁকে তদন্তে যোগ দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য ফের নোটিস দিয়ে তাঁর বাড়িতে যান পুলিশ আধিকারিকরা। শুক্রবারও এই নোটিস দিতে তাঁরা কেজরিওয়ালের বাসভবনে এসেছিলেন। কিন্তু দিতে না পারায় ফের শনিবার সকালে হাজির হয় দিল্লি পুলিশ।
শুধু আপ প্রধানই নন, তাঁর সরকারের মন্ত্রী আতিশীও একই অভিযোগ তোলেন। সাংবাদিক বৈঠকে আতিশী দাবি করেন, দিল্লিতে ‘অপারেশন লোটাস ২.০’- চেষ্টা করছে বিজেপি। গত বারের মতো এ বারও আপ বিধায়কদের কেনার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
আম আদমি পার্টির এই অভিযোগের পরই নড়েচড়ে বসে দিল্লির বিজেপি নেতৃত্ব। গত ৩০ জানুয়ারি বিজেপি নেতা সচদেবার নেতৃত্বে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। এরপর একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি পুলিশের দ্বারস্থ হয়। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান তারা।দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রধান বীরেন্দ্র সচদেবা। তাঁর দাবি, কেজরিওয়াল তাঁর করা অভিযোগগুলি প্রমাণ করুন।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের তলব সত্ত্বেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের নেতারা কোনও সাড়া দেননি। ফলে এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই বলেই জানাচ্ছে গেরুয়া শিবির। বীরেন্দ্র সচদেবা বলেন, ‘তাঁদের অনুপস্থিতিই প্রমাণ করছে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং তাঁর নেতাদের তোলা অভিযোগের সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং মিথ্যা।’
কেজরী এবং আতিশীর এই অভিযোগের পরই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগ করে বিজেপি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবির সত্যতা কতটা তার তদন্ত চেয়ে পাল্টা অভিযোগ করা হয়। সেই অভিযোগ নিয়েই এখন দু’পক্ষের মধ্যে টানাপোড়েনের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে।