পাঁচ রাজ্য থেকে কেউ দিল্লিতে এলে দিতে হবে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট

প্রতীকী ছবি (File Photo: IANS)

দেশের পাঁচটি রাজ্যে বাড়ছে করােনা সংক্রমণ। এই তথ্য সামনে আসার পরেই সতর্ক হয়েছে দিল্লি। জানা গিয়েছে, ওই রাজ্যগুলি থেকে কেউ রাজধানীতে আসতে চাইলে আগে তাঁদের কাছে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট চাওয়া হবে।

আজই সম্ভবত এ ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছে কেন্দ্র। তাতে বলা হবে কেরল, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব থেকে কেউ বিমানে, ট্রেনে বা বাসে চেপে দিল্লিতে আসতে চাইলে আগে তাকে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এই নিয়ম চালু হবে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে। ১৫ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ওই সার্টিফিকেট চাওয়া হবে।

গত এক সপ্তাহে সারা দেশে যতজন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ৮৬ শতাংশই ওই পাঁচটি রাজ্যের বাসিন্দা। সেখান থেকে কেউ বিমান, ট্রেন বা বাসে উঠতে চাইলে তা কাছে চাওয়া হবে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট। তার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে টেস্ট করাতে হবে, তবেই টেস্টের ফলাফল গ্রাহ্য হবে। 


বর্তমানে দেশে যতজন করােনা অ্যাকটিভ রােগী আছেন তাদের ৭৫ শতাংশ কেরল ও মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মঙ্গলবারে মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২১০ জন। কেরলে আক্রান্ত হয়েছেন ২১১২ জন। তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪৯। মহারাষ্ট্রে ১৮ জন। করােনায় মারা গিয়েছেন। কেরলে মারা গিয়েছেন ১৬ জন। পাঞ্জাবে মৃতের সংখ্যা ১৫। 

ইতিমধ্যে কর্নাটক, তামিলনাড়ু এবং উত্তরাখণ্ডের সরকার পাঁচ রাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের থেকে কোভিড নেগেটিভ রিপাের্ট চাইছে। মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ছে মূলত মুম্বইয়ের শহরতলী এলাকায়। তার মধ্যে আছে নাগপুর, অমরাবতী, নাসিক, আকোলা এবং যবতমাল। 

মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যজুড়ে সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পুনে এবং অমরাবতীতে নতুন করে জারি করা হয়েছে লকডাউন। পাঁচ রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকে আশঙ্কা করছেন অতিমারীর দ্বিতীয় ওয়েভ আসতে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে টেস্ট আরও বাড়াতে হবে। আরও বেশি মানুষকে দ্রুত ভ্যাকসিন দিতে হবে।

বুধবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিনে বলা হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৩ হাজার ৭৪২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল আটটা পর্যন্ত ভারতে মােট আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ১৭৬ জন। বুলেটিন জানাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় করােনায় আত্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০৪ জনের।