• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

সাংসদ কেনাবেচা: মানহানির মামলা আতিশীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ

দিল্লি, ২৮ মে– খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দিল্লির শাসকদল আপ৷ আবগারি দূর্নীতিতে দলের প্রথম সারির নেতারা ইতিমধ্যেই কেউ জেলে তো কেউ জামিনে বাইরে৷ সবে জামিন পেয়েছেন আপ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ এবার পালা দলের আরেক উচ্চস্তরীয় নেত্রী অতিশী মারলেনার৷ তবে সেটা আবগারি দূর্নীতিতে নয়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে আপ বিধায়কদের ‘কেনার চেষ্টা’র অভিযোগ তুলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল

দিল্লি, ২৮ মে– খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে দিল্লির শাসকদল আপ৷ আবগারি দূর্নীতিতে দলের প্রথম সারির নেতারা ইতিমধ্যেই কেউ জেলে তো কেউ জামিনে বাইরে৷ সবে জামিন পেয়েছেন আপ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ এবার পালা দলের আরেক উচ্চস্তরীয় নেত্রী অতিশী মারলেনার৷ তবে সেটা আবগারি দূর্নীতিতে নয়৷ বিজেপির বিরুদ্ধে আপ বিধায়কদের ‘কেনার চেষ্টা’র অভিযোগ তুলেছিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং অতিশী মারলেনা৷ সেই অভিযোগের বিরুদ্ধেই বিজেপির মিডিয়া প্রধান প্রবীণ শংকর কাপুর মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন৷ সেই মামলাতেই ২৯ জুন অতিশীকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত৷ বুধবারই তাঁকে আদালতে হাজিরার সমন পাঠানো হয়েছে৷
গেরুয়া শিবিরের দিল্লির মিডিয়া প্রধান প্রবীণ শংকর কাপুর আদালতে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করেন৷ গত জানুয়ারি মাসে নিজের এক্স (সাবেক টু্যইটার) হ্যান্ডলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘আমাদের সাত বিধায়কের সঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে যোগাযোগ করা হচ্ছে৷ আমাদের বিধায়কদের ভাঙানোর চেষ্টা চলছে৷ ২১ বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বিজেপি৷ আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলেছে৷ দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার ফেলে দেওয়া চেষ্টা চলছে৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সাত জন বিধায়কের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ দলবদলের জন্য ২৫ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্ত্ত সকলেই তা অস্বীকার করেছেন৷’
কেজরির সঙ্গে সহমত হয়ে এপ্রিল মাসে সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিশী বলেন, ‘আমার একজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির মাধ্যমে বিজেপি যোগাযোগ করেছিল৷ রাজনৈতিক কেরিয়ার বাঁচাতে বিজেপিতে যোগ দিতে বলা হয় আমাকে৷ ওঁরা হুমকি দেয়, দল বদল না করলে এক মাসের মধ্যে ইডি আমাকে গ্রেপ্তার করবে৷’
কেজরী এবং অতিশীর এই অভিযোগের পরই তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি অভিযোগ করেছিল বিজেপি৷ তার পর বিজেপি নেতা প্রবীণশঙ্কর কপূর মানহানি মামলা করেছিলেন আদালতে৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, কেজরী এবং তাঁর সঙ্গীরা মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন৷ এতে নিচুতলার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে৷ শুধু তা-ই নয়, সাধারণ জনগণের মধ্যে বিজেপি এবং তার কর্মীদের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টায় এই সব ভুল কথা বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ৷ এই মানহানি মামলায় কেজরীওয়ালের নামও উল্লেখ করেছিলেন প্রবীণশঙ্কর৷ তবে আদালত শুধু অতিশীকেই সমন পাঠাল৷