বাচ্চাদের জন্য টিকায় অনুমোদন দিল কেন্দ্রের প্যানেল। ছোটদের জন্য ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ সে নিয়ে এতদিন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল।
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডবাইজরি গ্রুপ অব ইমিউনাইজেশন ও স্ট্যান্ডিং টেকনিক্যাল সাব-কমিটি ঘোষণা করেছে, ৫ থেকে ১২ বছরের বাচ্চাদের দেওয়া যাবে বায়োলজিক্যাল ই-র কর্বেভ্যাক্স ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।
ছোটদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিনে আগেই ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল।
অন্যদিকে, বায়োলজিক্যাল ই-র কর্বেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল।
গত ১৬ জুন ভ্যাকসিনের গুণাগুন পর্যালোচনার জন্য বৈঠক করে স্ট্যান্ডিং টেকনিক্যাল সাব-কমিটি।
সেখানেই ছোটদের ওপর ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সমস্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়। সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখার পরেই ভ্য়াকসিন ব্যবহারে ছাড়পত্র দেন প্যানেলের বিশেষজ্ঞরা।
পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) যৌথ গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, করোনার অতি সংক্রামক প্রজাতির মোকাবিলা আগেও করেছে ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন ।
খুব কম জনের শরীরে হলেও ছোঁয়াচে স্ট্রেন নিষ্ক্রিয় করতে পেরেছে দেশের তৈরি এই টিকা।
ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, এখনও অবধি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যতজন শিশুকে টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেড়েছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ভাইরাসের যে কোনও সংক্রামক প্রজাতি থেকেই সুরক্ষিত থাকবে শিশুরা।
৬ থেকে ১২ বছর বয়স অবধি বাচ্চাদের জরুরি ভিত্তিতে কোভ্যাক্সিন টিকা দেওয়া যাবে বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে ছোটদের জন্য টিকা এনেছে দেশের সবচেয়ে পুরনো বায়োলজিক্যাল ফার্ম বায়োলজিক্যাল ই। বুস্টার ডোজ হিসেবেও কর্বেভ্যাক্স টিকায় অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।