করোনার গ্রাফ ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে তা বলতে পারছেন না বিশ্বের কেউই। এক্ষেত্রে বেষণাই ভরসা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিজ্ঞানীরা রীতিমতো নিয়োজিত য়েছেন করোনার চূড়ান্ত পরিণতির দিশ পেতে।
যদিও সবকিছুই এখন কল্পনার স্তরে রয়েছে। যদিও গবেষকদের কাংশের দাবি, আর কয়েক সপ্তাহের ধ্যেই শিখরে ছুঁয়ে ফেলবে করোনা স্ফীতি।
একটি গবেষণায় দাবি, করোনার এই স্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে প্রতিদিন কম করেও ১০ লক্ষ ভারতবাসী করোনা আক্রান্ত হতে পারেন।
করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের দ্রুত সংক্রমণের যে প্রবণতা, তা বিচার করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ভারতের দু’টি বেষণা সংস্থা।
করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার কেমন হবে, গবেষণার করার সময় তা মাথায় রখেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে আরও একটি বিষয় সমান কিংবা কিছুটা বেশি গুরুত্ব পয়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, টিকা নওয়ার পরও দেশের জনসংখ্যার একটি বড় অংশের মধ্যে করোনার দুর্বলতর রূপ বা ওমিক্রনে আক্রান্ত ওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গবেষণায় এই অংশ বা সংখ্যাকে গুরুত্ব দেওয়া রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের কথায়, ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কাদের মধ্যে বড়েছে, সেই সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়। মোট টিকাপ্রাপ্তদের ৩০ শতাংশ হতে পারেন। ৬০ শতাংশ হতে পারেন যাবার ১০০ শতাংশও হতে পারেন।
এই সংখ্যার নিরিখে করোনার নতুন স্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছলে দৈনিক তিন লক্ষ, ছ’লক্ষ এমনকি ১০ লক্ষ দেশবাসী দনিক করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন লে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন দুই গবেষক।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল নস্টিটিউট (বেঙ্গালুরু) এই দুই সংস্থার বজ্ঞানী অধ্যাপক শিব আত্রেয়া এবং জেশ সুন্দরসন সম্প্রতি ওমিক্রন নিয়ে চাঁদের গবেষণার ভিত্তিতে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
তাতে বলা হয়েছে, জানুয়ারির শষ সপ্তাহেই সাম্প্রতিক করোনা। স্ফীতি সর্বোচ্চ হবে। যার প্রভাব থাকবে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে রাজ্যভেদে এই সর্বোচ্চ স্ফীতির সময়ের হেরফের হতে পারে।
বিজ্ঞানীর কথা মতো দিল্লিতে মাঝ জানুয়ারিতেই করোনার সংক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ হতে পারে। যাবার তামিলনাড়ু তে করোনা সংক্রমণ দ্ভূত গতিতে বাড়তে শুরু করবে জানুয়ারির শেষ দুই সপ্তাহ থেকে।