বছর ঘুরে ফের ফিরছে করােনার ভয়াল আতঙ্ক। কেরালা, মহারাষ্ট্রের পর এবার পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশেও চোখ রাঙাচ্ছে সংক্রমণ। ডিসেম্বরের পর আচমকা বৃদ্ধি পেয়েছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা।
পাঁচ রাজ্যে করােনা সংক্রমণের এমন বাড়বাড়ন্ত দেখে শঙ্কিত বছরের শেষেই এসেছে করােনা সংক্রমণের টিকা। তখনও ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতেও শুরু হয়েছে টিকাকরণ। এখনও পর্যন্ত ১.০৭ কোটি মানুষের টিকাকরণ সম্পূর্ণ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবুও নিশ্চিন্ত হওয়ার বদলে আচমকা দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি নতুন করে মহামারীর আশঙ্কা জাগাচ্ছে সাধারণের মনে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, কেরালা, মহারাষ্ট্রের পর পাঞ্জাব, ছত্তিশগড় এবং মধ্যপ্রদেশেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়চ্ছে। ছত্তিশগড়ে গত সাত দিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বহু মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই ২৫৯ জনের শরীরে নতুন করে সংক্রমণের খবর মিলেছে। ছত্তিশগড়ের মতােই পঞ্জাবেও করােনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত ৩৮৩ জন। মধ্যপ্রদেশেও আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করােনা। ১৯ ফেব্রুয়ারি নতুন করে ২৯৭ জন করােনা আক্রান্ত হয়েছে ওই রাজ্যে।
সংক্রমণে নতুন করে উজ্জ্বগ বাড়িয়েছে মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে দৈনিক করােনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে নতুন করে ৬,১১২ জন এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় লকডাউন জারি করা হল। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত আটটা থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল সাতটা পর্যন্ত লকডাউনের কথা ঘােষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে পারে, এই আশঙ্কায় তাই শক্ত হাতে হাল ধরল উদ্ধব ঠাকরে প্রশাসন ও বৃহন্মুম্বই পুরসভা। বিদর্ভের তিনটি জেলায় করােনা রুখতে লকডাউন থেকে শুরু করে যেমন আরও পদক্ষেপ করছে সরকার, তেমনই মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে মার্শাল নামাচ্ছে তারা।