গত শনিবার থেকে বেঙ্গালুরুতে রোজ করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ১৫.৭ শতাংশ হারে। সোমবার রাজ্য সরকার এই তথ্য দিয়েছে। রবিবার শহরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩৫ জন। একদিনে সংক্রমণের এটা রেকর্ড। আমাদের দেশে দিল্লি, মুম্বই ও চেন্নাই এই তিনটি শহরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
দিল্লিতে রোজ সংক্রমণ বাড়ছে ২.৬ শতাংশ হারে, চেন্নাইতে বাড়ছে ২.৯ শতাংশ হারে এবং মুম্বইতে বাড়ছে এক শতাংশ হারে। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে সংক্রমণের হার এই শহরগুলোর থেকে অনেকটাই বেশি। এর ফলে উদ্বিগ্ন হয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
বেঙ্গালুরু নিয়ে উদ্বেগের আরেকটি বড় কারণ হল সেখানে করোনা আক্রান্তদের সেরে ওঠার হারও কম। দিল্লিতে ৭১.৭ শতাংশ হারে আক্রান্ত সেরে উঠেছেন। চেন্নাইয়ে সেরে ওঠার হার ৬২ শতাংশ ও মুম্বইয়ে ৬৬.১ শতাংশ। সেই তুলনায় বেঙ্গালুরুতে সেরে উঠেছে মাত্র ১৪.৭ শতাংশ। অবশ্য বেঙ্গালুরুতে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যাও কম। সারা দেশে মৃত্যুর হার ২.৮২ শতাংশ। বেঙ্গালুরুতে মৃত্যুর হার ১.৫৫ শতাংশ।
রাজধানী শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৬৭। মারা গিয়েছেন ১৫৫ জন। ৩ জুলাইয়ের পর শহরে মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। শহরে করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ৫ জুলাই থেকে ফুল লকডাউন ঘোষণা করেছে বি এস ইয়েদুরপ্পা সরকার। তিনি শহরবাসীদের কাছে আবেদন করেছেন, আতঙ্কিত হবেন না, শহর ছেড়ে পালাবেন না।
তিনি বলেন, আমি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দাদের বলতে চাই, সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন ৪৫০টি অ্যাম্বুলেন্স রাস্তায় নেমেছে। হাসপাতালে বাড়তি বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ হাজার শয্যাবিশিষ্ট কোভিড কেয়ার সেন্টারও করা হয়েছে।