• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল, মহারাষ্ট্রেই ১৬ হাজার

সারা দেশের নিরিখে করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে মহারাষ্ট্রে। আক্রান্ত ২৬ হাজার ৭৫৮ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৫১ জনের।

র‍্যান্ডম টেস্টিং করছে এক স্বাস্থ্যকর্মী। (Photo: AFP)

মঙ্গলবারই দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছিল। বুধবার এক লাফে সেই সংখ্যা পৌঁছয় ৫০ হাজারে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সকাল ৮’টার বুলেটিনে দেখা গেল, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫২ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাস সংক্রামিত হয়েছেন আরও ৩,৫৬১ জন।

কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে, বুধবার সকাল ৮’টার বুলেটিনে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ছিল ৪৯,৩৯১। আজ সকালে সেই সংখ্যা ৫২,৯৫২। অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে আরও ৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা এখন ১,৭৮৩।

সারা দেশের নিরিখে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে মহারাষ্ট্রে। আক্রান্ত ২৬ হাজার ৭৫৮ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৬৫১ জনের। মহারাষ্ট্রের ৩৬’টি জেলার মধ্যে ৩৪’টিতেই করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। নতুন করে যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২৫ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা। মুম্বইতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ১০,৭১৪ জন।

তবে মহারাষ্ট্রে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও বেশি। কেন্দ্রের পরিসংখ্যাণ বলছে, এখনও অবধি সেখানে ৩,০৯৪ জন সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে।

করোনা সংক্রমণের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাত। সেখানে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬ জনের। সুস্থ হয়েছে ১,৫০০ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। সেখানে আক্রান্ত ৫,৫৩২। ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৫৪২ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছিলেন, দেশে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়লেও সেই বৃদ্ধি হচ্ছে ধীরগতিতে। অর্থাৎ কোনও সময়েই হঠাৎ করে আক্রান্তের সংখ্যার বিরাট বৃদ্ধি হয়নি।

তিনি জানান, দেশের টেস্টিংয়ের সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। আর টেস্টিং যত বেশি হবে, তত আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া যাবে। কারণ, অনেকেই রয়েছে, যাদের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। কিন্তু তারা আক্রান্ত। বেশি টেস্টিং হলেই তাদের খোঁজ পাওয়া যাবে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় যেমন তিন হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তেমনি গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ সারিয়ে সেরে উঠেছেন ১০৮৩ জন। দেশে এখনও অবধি ১৫ হাজার ২৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন।