• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

করােনা: ধর্মীয় সভা সমিতিতে মানা, মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত পুলিশকর্মীরা

সোমবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নানদেদ জেলায় শিখদের এক ধর্মীয় শোভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। তার পরেই তলোয়ার হাতে পুলিশের ওপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা।

(Screengrab: Twitter | @Guru_Burman)

সােমবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নানদেদ জেলায় শিখদের এক ধর্মীয় শােভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। তার পরেই তলােয়ার হাতে পুলিশের ওপর চড়াও হয় উন্মত্ত জনতা। চার পুলিশকর্মী আহত হন।

মহারাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণ কমানাের জন্য সব রকমের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। সে কারণেই শিখদের শােভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনায় ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে। গুরুদ্বারের বাইরে ব্যারিকেড করে দিয়েছে পুলিশ। ব্যরিকেড ভেঙে পুলিশের ওপর হামলা চালায় তারা। 

নানদেদ জেলার পুলিশ সুপার প্রমােদ কুমার শেওয়ালে জানান, করােনা বিধি মেনেই গুরুদ্বারকে জানানাে হয়েছিল হােল্লা মহল্লা শােভাযাত্রা বের করা যাবে না। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এবার শােভাযাত্রা বের করা হবে না। গুরুদ্বার চত্বরেই ছােট করে উৎসব হবে। 

বিকেল চারটেয় উৎসব শুরু হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ সুপার জানান, কয়েকজন যুবক অধৈর্য হয়ে পড়েন। তাদের বােঝানাের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তারা গুরুদ্বারের এক নম্বর গেট দিয়ে বেরিয়ে পড়ে। অন্যান্য বছর যে পথে শােভাযাত্রা যায়, সেই পথে এগনাের চেষ্টা করে।

হােল্লা মহল্লা উৎসবে শিখরা সামরিক কসরত দেখিয়ে থাকেন। সােমবার গুরুদ্বার থেকে একজন পূণ্যার্থী নিশান সাহিব অর্থাৎ শিখদের ধর্মীয় পতাকা নিয়ে গুরুদ্বার ফটকে আসার পর অশান্তি শুরু হয়। অনেকে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করতে থাকেন। তারপর একসঙ্গে অনেক মানুষ গেট থেকে বেরনাের চেষ্টা করেন। 

সারা দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই সবথেকে বেশি মানুষ করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সােমবার সকালে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ৪১৪ জন। মারা গিয়েছেন ১০৮ জন। শনিবার মাঝরাত থেকে রাজ্যে নাইট কার্ফু জারি করা হয়েছে। সরকারের তরফে রাজ্যবাসীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে কোভিড ঠেকাতে আগামী দিনে আবারও লকডাউন করা হতে পারে। 

গত কয়েক সপ্তাহে মহারাষ্ট্রে করােনা সংক্রমণ ঘটেছে অত্যন্ত দ্রুত হারে। শনিবার জানা যায় মহামারী শুরু হওয়ার পর আর কখনও রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় এত বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়নি। দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরে ফের সব রকম জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতিমারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু।