৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিহারে খুন হয়েছেন দুই এএসআই। এবার পাশের রাজ্য মধ্যপ্রদেশেও হামলার জেরে মৃত্যু হল এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরের (এএসআই)। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা তাঁর উপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রীবা জেলা গাদরা গ্রামে অশান্তির খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) অঙ্কিতা সুলিয়ার নেতৃত্বে এক দল পুলিশ সেখানে পৌঁছোয়। গ্রামে ঢুকতেই লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশবাহিনীর উপর হামলা চালান গ্রামবাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে পালাতে থাকেন পুলিশকর্মীরা। অনেকে বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। এসডিপিও অঙ্কিতা সুলিয়া কোনও রকমে একটি বাড়িতে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন।
বাকি পুলিশকর্মীরা গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েন। গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এএসআই চরণ গৌতমের। হামলার খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তাঁরা আহতদের উদ্ধার করেন। এই ঘটনার পর গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অশোক নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তিকে খুন করার অভিযোগে রঞ্জন দ্বিদেবী নামে এক ব্যক্তিকে তুলে এনে মারধর করা হচ্ছিল। সেই সময় এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ। তখন উত্তেজিত জনতা পুলিশের উপর হামলা চালায়। প্রসঙ্গত, বিহারে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরারিয়া এবং মুঙ্গেরে দুই এএসআইকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।