এক রমেশ বিধুড়ীতে রক্ষে নেই, কপিল মিশ্র দোসর। দিল্লির নির্বাচনে দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় জ্বলজ্বল করছে বিতর্কিত নেতা কপিল মিশ্রের নাম। দিল্লির কারাওয়াল নগর কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ দিল্লি পুলিশের সামনেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত বিক্ষোভকারীদের গুলি চালানোর নিদান দিয়েছিলেন তিনি। এবারের দিল্লি নির্বাচনে একের পর এক বিতর্কিত নেতাকে টিকিট দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। প্রথম তালিকায় বিতর্কিত প্রবেশ বর্মা ও রমেশ বিধুড়ীর নাম ছিলো। এবার কপিল শর্মার নাম ঘোষণা হতেই স্পষ্ট হয়ে গেলো সাম্প্রদায়িকতাকে হাতিয়ার করেই দিল্লির বিধানসভা দখল করতে চাইছে বিজেপি।
এমনিতেই বিধুড়ীর কুকথা নিয়ে সরগরম রাজনীতি। আপ ইতিমধ্যেই লাগাতার প্রচার চালিয়ে বলছে, এবারে দিল্লি নির্বাচনে রমেশ বিধুড়ী বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। এর মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ২৯ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। আর সেই তালিকায় চমকপ্রদ নাম কপিল মিশ্র। এখানে বলা যায় ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আম আদমি পার্টিতেই ছিলেন কপিল। ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তারপর থেকে বিভিন্ন সময় লাগাতার সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিলো তাঁর বিরুদ্ধে। ২০২০ সালে দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিলো। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সংক্রান্ত বিক্ষোভকারীদের তাঁর মন্তব্যের জেরে আদালতেও ভর্ৎসিত হয়েছিলেন তিনি। এবার তিনি হলেন দিল্লি নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী। তাঁর পাশাপাশি এবারও টিকিট দেওয়া হয়েছে লক্ষ্মীনগরের বিধায়ক অভয় ভর্মাকে। টিকিট পেয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মদনলাল খুরানার পুত্র হরিশ খুরানাও ।
প্রথম দফায় টিকিট পাওয়ার পরই রমেশ বিধুড়ী কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশীকে কুমন্তব্য করেছিলেন। এই নিয়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েছিলো বিজেপি। অনেকেই মনে করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আতিশীর বিরুদ্ধে কালকাজি কেন্দ্র থেকে এই বিতর্কিত বিজেপি নেতাকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। কারণ তাঁর মন্তব্য মহিলাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কিন্তু বিজেপির দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের পর এটা স্পষ্ট, দিল্লির নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে তারা বিতর্কিত নেতাদের ওপরই ভরসা রাখছে।
অন্যদিকে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন কে জিতবে এই নিয়ে পূর্বাভাস দিলো ফালৌদি সাট্টা বাজার। এদের সমীক্ষা অনুযায়ী ৭০ আসনের মধ্যে আপ পেতে পারে ৩৭-৩৯টি আসন। বিজেপি পেতে পারে ২৫-৩৫টি আসন। আর কংগ্রেস শিবিরের ঝুলিতে ৩ টি আসন আসতে পারে।