জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথমবার পালিত হল সংবিধান দিবস। ১৯৪৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর এই প্রথম, সংবিধান দিবসটি সমগ্র রাজ্যে পালিত হল। এবার জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনের পর ওমর আবদুল্লাহ যখন ভারতের সংবিধানের নামে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, তখন তা নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়।
ওমর আবদুল্লাহর আগের মেয়াদ এবং নতুন অনুষ্ঠানের শপথ অনুষ্ঠানের ভিডিও শেয়ার করার সময়, অনেকে লিখছিলেন যে এবার ওমরকে শপথ নিতে হবে ভারতের সংবিধানের নামে। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভারতের সংবিধানও কার্যকর হয়েছিল আগেই। আর এবার জম্মু ও কাশ্মীরে পালিত হচ্ছে সংবিধান দিবস।
শ্রীনগরে সংবিধান দিবসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এই অনুষ্ঠানে মনোজ সিনহা এবং ওমর আবদুল্লাহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করবেন। অবশ্য এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ উপস্থিত থাকবেন না।
সোমবারই আবদুল্লা সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন, যেখানে তিনি ওমরাহ পালন করবেন। জম্মু ও কাশ্মীরের পাশাপাশি গোটা দেশেও সংবিধান দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ ছাড়া আজ সংসদের যৌথ অধিবেশনও ডাকা হয়েছে। উভয় কক্ষের স্পিকাররা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।
ওমর আবদুল্লা ১৬ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। সেই শপথে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, ওমর কীভাবে ভারতীয় সংবিধানে শপথ নিচ্ছেন। এমনটা আগে হয়নি। এর আগে জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ১৭ জন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, যাঁরা প্রত্যেকেই জম্মু ও কাশ্মীরের পৃথক সংবিধানে শপথ নিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট, ২০১৯ সাল পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে একটি পৃথক সংবিধান এবং পতাকা ছিল।
শুধু তাই নয়, ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সেখানকার সরকারের প্রধানকে প্রধানমন্ত্রী বলা হত এবং সদর-ই-রিয়াসত রাষ্ট্রপতির মর্যাদা পেত। এখন জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি অন্যান্য রাজ্যের মতো এবং সেখানেও আলাদা কিছু নেই। দেশের সংবিধানের সব বিধান সেখানে প্রযোজ্য।