• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কংগ্রেস রাজনীতি করার চেষ্টা করছে : রবিশঙ্কর প্রসাদ

একটি মামলা দায়ের করে এক ব্যক্তি বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেন দায়ের করা হল না তা জানতে চান।

কেন্দ্রীয় আইন ও ন্যায় বিচার মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। (File Photo: Twitter/@BJP4India)

দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলি নিয়ে কোনও অনিয়ম হয়নি এবং সকল রীতিনীতি মেনেই এবং বিচারপতির সম্মতিতেই তাঁকে পাঞ্জাব-হরিয়াণা হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এদিন সাংবাদিকদের জানান, সংবাদমাধ্যমে অযথা এনিয়ে জলঘােলা করা হচ্ছে।

বিচারপতি বিজেপি নেতার প্ররােচনামূলক ভাষণের পরও কেন তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এজন্য পুলিশকে ভৎসনা করার পরই নাকি তাঁকে বদলি করা হয়েছে এমন খবর রটানাে হচ্ছিল।

কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানান, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া’ মেনেই বিচারপতিকে বদলি করা হয়েছে। এটা কোনও হঠাৎ ঘটনা নয়। উত্তর দিল্লিতে হিংসাত্মক ঘটনার আগে বিজেপি নেতা সিএএ নিয়ে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্ররােচনামূলক বক্তব্য রাখেন স্থানীয় এক সভায়। এর পরই হিংসাত্মক ঘটনা শুরু হয় বলে অভিযােগ করা হয়।

একটি মামলা দায়ের করে এক ব্যক্তি বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর কেন দায়ের করা হল না তা জানতে চান। বিচারপতিও সংশ্লিষ্ট নেতার ভাষণের ভিডিও ক্লিপিং আদালতেই দেখানাের অনুমতি দেন এবং সংশ্লিষ্ট নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ কেন এফআইআর দায়ের করেনি তার জন্য ভর্থনা করেন। এরপর প্রই বুধবার তাঁর বদলির নােটিশ দেওয়া হয় বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

কিন্তু সংবাদমাধ্যমের খবরকে একপেশে আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন কোর্ট কলেজিয়াম বিচারপতি এস মুরলিধরের বদলির সিদ্ধান্ত ঘােষণা করে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিচারপতির সম্মতিও নেওয়া হয় আইনমন্ত্রী তাঁর টুইটে জানান।

কংগ্রেসের সমালােচনার উত্তরে আইনমন্ত্রী জানান, সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তেই বিচারপতি এস মুরলিধর বদলি হয়েছেন। কংগ্রেস বিচারবিভাগের নিয়মনীতির প্রতিও শ্রদ্ধাশীল নয় বলেই এমন অবিবেচকের মতাে সমালােচনা করতে পারছে। দেশের মানুষ কংগ্রেসকে পরিত্যাগ করেছে, তাই এখন কংগ্রেস দল দেশের মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলির কাজের সমালােচনা করে নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছে। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকেও কংগ্রেস মান্যতা দিতে চায় না। তবে কি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি নিজেকে সুপ্রিম কোর্টে চেয়েও বড় মনে করেন বলে প্রশ্ন করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।

রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, বিজেপি বিচারবিভাগের স্বাধীনতাকে মর্যাদা দেয়। কিন্তু কংগ্রেস তাদের পক্ষে রায় না হলেই বিচারবিভাগের সমালােচনায় মুখর হয়। জরুরি অবস্থার সময়ে বহু বিচারপতির সিনিয়রিটিকে তােয়াক্কা না করে অন্যদের পদোন্নতি ঘটানাে হয়েছে এমন নজির রয়েছে। আপত্তিজনক ভাষণের বিষয়ে কংগ্রেসের সমালােচনার কোনও অধিকার নেই। কংগ্রেসের পারিবারিক নেতারা অনবরতই বিচারবিভাগ, সামরিক বাহিনী, ক্যাগ, প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের মানুষের বিরুদ্ধে নানান অসাংবিধানিক কথা বলে চলেছেন বলে তিনি অভিযােগ করেন।

কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা বড়রা বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস মুরলিধরের বদলির বিষয়ে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক ও ধিক্কারজনক ঘটনা। কংগ্রেসের জাতীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা জানান, নরেন্দ্র মােদি-অমিত শাহ জুটির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতার দম্ভে গণতন্ত্রের সকল রীতিনীতিকেই বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে এবং বিচার ব্যবস্থাকেও প্রহসনে রূপান্তরিত করছে।

বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলির বিরােধিতা করে দিল্লি হাইকোর্ট বার অ্যাসােসিয়েশন কলেজিয়ামের কাছে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। এমন সময়ে ভিচারপতির বদলির ফলে সাধারণ মানুষের বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থায় চিড় ধরতে বাধ্য।