আরও জোরাল হল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার দলবদলের জল্পনা। সেই জল্পনায় সত্যির ফোড়ন দিল আচমকা বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা।
শোনা যাচ্ছে, রাজ্যসভার টিকিট না পেয়ে আনন্দ শর্মা এতটাই অসন্তুষ্ট যে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতেযোগ দিতে পারেন তিনি। যদিও পরে আনন্দ নিজেই এই জল্পনায় জল ঢেলেছেন।
একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, আনন্দ শর্মা বৃহস্পতিবার রাতে গোপনে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেছেন।
যদিও আনন্দ নিজে দাবি করেছেন, নাড্ডার সঙ্গে তাঁর দেখা করার হলে, তিনি প্রকাশ্যে দেখা করবেন। গোপনে নয়।
তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার অধিকার। রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হওয়া মানেই কেউ কারও শত্রু হয়ে যায় না। আমি কোনও জল্পনার জন্ম দিতে চায় না।’
সাক্ষাতের কথা অস্বীকার করলেও নাড্ডার সঙ্গে যে তাঁর কথা হয়েছে, সেটা স্বীকার করেছেন আনন্দ শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, আমরা দু’জন একই রাজ্যের মানুষ।
হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দু’জনকেই সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ডেকেছে। সে বিষয়েই কথা হয়েছে নাড্ডার সঙ্গে।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের আরেক বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল দলত্যাগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। আনন্দ শর্মা সিব্বলের বেশ ঘনিষ্ঠ।
সেই সূত্রেই আনন্দ শর্মার কংগ্রেস ত্যাগ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। কিছুদিন আগে পর্যন্ত কংগ্রেসের রাজ্যসভার উপনেতা ছিলেন আনন্দ।
কিন্তু সদ্য শেষ হওয়া রাজ্যসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি দল। বদলে জায়গা পেয়েছেন গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠরা। তাতেই গোঁসা হয়েছে আনন্দের। যদিও মুখে তিনি বলছেন, আমি কংগ্রেসের সঙ্গেই যুক্ত।
আনন্দ শর্মা সত্যিই বিজেপিতে যোগ দিলে সেটা কংগ্রেসের জন্য ভালমতো ধাক্কা হতে পারে। সামনেই হিমাচলের বিধানসভা নির্বাচন। আনন্দ শর্মা সেরাজ্যেরই বাসিন্দা।
স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি এবং বাগ্মী নেতা হিসাবে পরিচিত আনন্দ দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কপিল সিব্বলের পর তিনিও দল ছাড়লে জাতীয় স্তরে কংগ্রেস সম্পর্কে আরও খারাপ বার্তা যাবে।