আর কয়েক সপ্তাহ পরেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল আম আদমি পার্টি এবং দুই বিরোধী বিজেপি এবং কংগ্রেস। এরই মধ্যে দিল্লির ছাত্রযুবদের জন্য বড় ঘোষণা করল কংগ্রেস। রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট এই ঘোষণা করেছেন।
শচীন পাইলট বলেন, আমাদের সরকার গঠিত হলে, শিক্ষিত বেকার যুবকদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এক বছরের জন্য প্রতি মাসে ৮৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ‘যুব উদ্যান যোজনা’র আওতায়, যুবকদের এক বছরের শিক্ষানবিশ এবং প্রতি মাসে ৮৫০০ টাকা দেওয়া হবে। েই নিয়ে কারও কোনও সন্দেহ থাকা উচিত নয়, পুরো দল তার সর্বশক্তি দিয়ে দিল্লি নির্বাচন লড়ছে।
শচীন ছাড়াও দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব, রাজ্য ইনচার্জ কাজী নিজামুদ্দিন, এনএসইউআই সভাপতি বরুণ চৌধুরী এবং অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পাইলট বলেন, তারিখে দিল্লিতে একটি নতুন সরকার নির্বাচিত হবে। এর আগেও যখনই এখানে কংগ্রেস সরকার ছিল, তখনই প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এখানে কেবল কাদা ছোড়াছুড়ি চলছে। দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার এবং ৭ তজন বিজেপি সাংসদ জনগণের জন্য কিছুই করতে পারেনি। কংগ্রেসের আমলে, দিল্লি দেশের সমস্ত মহানগরের তুলনায় বেশি উন্নত ছিল।
দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব বলেন, রাজমহল এবং শিশমহল ছাড়াও যুবসমাজকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা আমাদের উদ্যোগ। এর আগে কংগ্রেস ‘প্যারি দিদি যোজনা’র আওতায় প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা এবং ২৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পের গ্যারান্টি দিয়েছিল। তিনি আপকে আক্রমণ করে বলেন, তিহার জেল ডাকছে, কেজরিওয়াল আবার আসবেন, তিহার জেলের দেওয়ালে লেখা আছে, কেজরিওয়াল আবার আসবেন। দুর্নীতির মামলায় পুরো মন্ত্রিসভা জেলে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
দেবেন্দ্রর কথায়, কেজরিওয়াল দিল্লিকে দুর্নীতির মডেল দিয়েছেন, উন্নয়নের মডেল নয়। শীলা দীক্ষিতের সময়ে দিল্লিকে বিশ্বমানের শহর হিসেবে গড়ে তোলার কাজ করা হয়েছিল।