দলিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে, হাথরস-ভিডিও পোস্ট করে তোপ রাহুলের

দলিতদের ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। হাথরসের নির্যাতিতার বাবা-মা সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডেলে কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ১২ ডিসেম্বর হাথরসে গণধর্ষণ শিকার হওয়া নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাহুল। মঙ্গলবার এই সাক্ষাতের ১১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন তিনি। নির্যাতিতার পরিবারের বেদনা এই ভিডিওতে প্রকাশ করা হয়েছে। রাহুলও বিচারের অপেক্ষায় আছেন বলে জানান।

ভিডিওটি পোস্ট করার সময়, রাহুল গান্ধী বলেছেন, মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং হাথরস ধর্ষণের শিকার পরিবারের হতাশার প্রতিটি শব্দ অনুভব করুন। তাঁরা এখনও আতঙ্কে রয়েছেন। তাদের পরিস্থিতি থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, দলিতদের জন্য ন্যায়বিচার পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা এই পরিবারের সঙ্গে আছি, আমরা তাঁদের বাড়ি স্থানান্ত্রিত করব এবং প্রয়োজনীয় সমস্ত সহায়তা দেব।

ভিডিওটিতে বলা হয়েছে, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০-এ, একটি ১৯ বছর বয়সী মেয়েকে চারজন উচ্চবর্ণের লোক গণধর্ষণ করেছিল। দুই সপ্তাহ পরে, ২৮ সেপ্টেম্বর, মেয়েটি দিল্লিতে মারা যায়। ওই রাতেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর পরিবারের সম্মতি ছাড়াই মেয়েটির মৃতদেহ জোরপূর্বক দাহ করে। চার বছর পঁরে, তার পরিবার এখনও বিচারের জন্য অপেক্ষা করছে।


পরিবার রাহুল গান্ধীকে বলেছে, অভিযুক্তরা খালাস হয়েছে এবং গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাত্র একজন জেলে গিয়েছেন। বাকি তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। পরিবার জানায়, আদালত ২০২২ সালে বাড়ি ও চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, তাও পাননি তাঁরা। পরিবার রাহুল গান্ধীকে বলেছে, এখানে তফশিলি জাতির মানুষদের ৪টি বাড়ি রয়েছে। দলিতদের কোনও আশা নেই। পরিবার কংগ্রেস সাংসদকে জানিয়েছে, তাঁরা কেবল কংগ্রেসের কাছ থেকে আশা করে।

নির্ভয়ার মা বলেন, কংগ্রেস যখন দেশে ক্ষমতায় ছিল, তখন নির্ভয়ার সময় গোটা দেশ একসঙ্গে লড়েছিল। এই লড়াইয়ের কারণেই তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন। কিন্তু এই দেশে বিজেপি সরকার আছে এবং আমরা দলিত। আমরা একটি ক্ষুদ্র জাতি, সেই কারণে আমরা ন্যায়বিচার পাচ্ছি না। আমরা শুধু আপনার কাছ থেকে আশা আছে।

পরিবার জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ভিডিওতে বলছেন, মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পরিবারের সম্মতিতে রাতেই দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবি, বিশ্ব দেখেছে, ওরা মিথ্যা বলে। নিহতের মা বলেন, কারো লাশ পোড়ানোর অধিকার সরকারের নেই।