দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ, সঞ্জয় নিরুপমকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস

দিল্লি, ৪ এপ্রিল – দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে সঞ্জয় নিরুপমকে বহিষ্কার করল কংগ্রেস। বুধবার রাতে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ৬ বছরের জন্য মহারাষ্ট্রের এই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। সম্প্রতি মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের এই নেতা দলের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা শিবিরকে নিশানা করে বিরূপ মন্তব্য করেন। তারপরই মহারাষ্ট্র কংগ্রেস এই নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন সাংসদ সঞ্জয় নিরুপম বৃহস্পতিবার দাবি করেন, এআইসিসি-র তরফে বহিষ্কারের ঘোষণার আগেই তিনি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে চিঠি পাঠিয়ে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সঞ্জয় নিরুপমের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে যে তিনি দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ করেছেন। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এরপরই তাঁকে দল থেকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে তা মঞ্জুর করেছেন।’  

মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাঠানো পদত্যাগপত্র পাটজানোর কথা বৃহস্পতিবার জানান সঞ্জয়। এদিন সকালে একটি স্ক্রিনশট এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে নিরুপম লিখেছেন, ‘ গতকাল রাতে দলীয় নেতৃত্ব আমার পদত্যাগপত্র পাওয়ার পরপরই, আমাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমার এমনটাই অনুমান। দলের এই ধরনের তৎপরতা দেখে ভাল লাগছে, শুধু এই তথ্য শেয়ার করলাম।’  কংগ্রেস নির্বাচনী প্রচার থেকে প্রাক্তন সাংসদ নিরুপমের নাম বাদ দিয়েছে। নিরুপমকে বুধবার সকালে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ‘তারকা প্রচারক’ তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল কংগ্রেস। প্রকাশ্যে দলীয় সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় তাঁকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলেও এআইসিসির একটি সূত্র সে সময় জানিয়েছিল। শেষমেশ রাতে সেই পদক্ষেপই করেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুম্বাইয়ে শিবসেনা ও কংগ্রেসের মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা চলছিল। আসন সমঝোতা নিয়ে উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার  আচরণে ক্ষুব্ধ নিরুপম গত সপ্তাহে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন। মুম্বাইয়ের একটি আসন থেকে নিরুপম লড়তে চাইলে তাতে উদ্ধব-শিবির আপত্তি জানিয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তাই নিয়ে ক্রুদ্ধ হন তিনি। কংগ্রেসের এই আসন বন্টনকে ‘শিবসেনার কাছে আত্মসমর্পণ’ বলে উল্লেখ করেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের বিরুদ্ধে খাদ্য দুর্নীতির অভিযোগও তোলেন তিনি।

মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে বলেন, ‘দল এবং রাজ্য কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তিনি বিরূপ কথা বলেছেন, সেই জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’