শচীনকে হারাতে চায় না কংগ্রেস, বার্তা চিদাম্বরমের

শচীন পাইলট (Photo: Twitter | @SachinPilot)

গহলটের বিরুদ্ধে ক্ষোভে আদালত পর্যন্ত ছুটেছেন তিনি। তার পরেও তাঁকে দলে ফেরাতে আপত্তি নেই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। রাজস্থান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা গেহলট সরকারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সচীন পাইলটকে এবার এমনই বার্তা দিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।

সচীনকে তিনি জানিয়েছে, এখনও সময় রয়েছে। ফিরে আসুন। পুরনো কথা কিছু মনে রাখা হবে না। বৃহস্পতিবার রাতে চিদম্বরমের সঙ্গে ফোনে কথা হয় সচীন পাইলটের। সেখানেই মনোমালিন্য ভুলে তাঁকে ফিরে আসতে অনুরোধ করেন তিনি।

সংবাদমাধ্যমে চিদম্বরম বলেন, ‘আমি শুধু ওঁকে মনে করিয়ে দিয়েছি যে, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে ওঁকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্ত সমস্যারই সমাধান হওয়া সম্ভব। ওঁকে সেই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর পরামর্শই দিয়েছি।’


কংগ্রেসের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এর আগে রাজস্থান সরকারের অন্দরে টানাপড়েন চলাকালীন চিদম্বরম নিজে ফোন করেছিলেন শচীন পাইলটকে। গতকাল তাঁকে ফোন করেন পাইলট। সেখানে তাঁকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বার্তাই পৌঁছে দেন চিদম্বরম।

তিনি জানান, শচীন এবং তাঁর অনুগামীদের বিদ্রোহের কথা মনে রাখবে না দল। তাঁর বিরুদ্ধে যে তদন্ত চলছে, তা নিছকই নিয়মমাফিক। তবে সম্পূর্ণ নিঃশর্তে ফিরে আসতে হবে তাঁকে। তবে শুধু চিদম্বরমই নন, এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢ়রার সঙ্গেও কথা হয় শচীন পাইলটের।

কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তার পরেও বিজেপি ঘনিষ্ঠ দুই আইনজীবীকে নিয়ে গতকাল রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শচীন পাইলট। কংগ্রেসের তরফে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন জানানো হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা করেন শচীন অনুগামী ১৮ জন বিধায়কও।