কংগ্রেস “সংবিধানের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ”, সংবিধান নিয়ে রাহুলকে তোপ মোদির

Written by SNS July 3, 2024 9:09 pm
দিল্লি, ৩ জুলাই –  কংগ্রেস “সংবিধানের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ”৷ বুধবার রাজ্যসভায় এই ভাষায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ একই সঙ্গে ভোটের প্রচারে এবং সরকার গঠনের পরও জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করার জন্য ভুয়ো প্রচার চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মোদি। রাষ্ট্রপতির জবাবি ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধীদের দাবির উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী৷  ২০২৪ সালের নির্বাচনকে  ‘সংবিধান রক্ষার’ ইস্যুতে লড়াই করেছিল কংগ্রেস। তার পালটা এদিন ১৯৭৭ সালের নির্বাচনের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ মোদি জানান, জরুরি অবস্থার পরে সংবিধান রক্ষার জন্য লড়াই করা হয়েছিল। রাজ্যসভায় দৃঢ়তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, সংবিধান রক্ষার জন্য এটিই প্রথম নির্বাচন নয়।  মোদি বলেন, “সংবিধান রক্ষার জন্য আমাদের প্রতি মানুষের আস্থা বেশি। তাই তারা আমাদেরকেই বেছে নিয়েছেন।”

রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপর মোদির আক্রমণ এদিন কার্যত চূড়ান্ত অপ্রত্যাশিত মোড় নেয় ৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝপথেই ওয়াকআউট করে। যার তীব্র সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় ৷ মোদি সরাসরি অভিযোগের সুরে জানান, আদতে বিরোধীরা সত্যের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে ৷ তিনি বলেন, “দেশ দেখছে, যারা মিথ্যা কথা ছড়ায়, তাদের সত্যিটা শোনার সাহস নেই ৷ বিরোধীরা রাজ্যসভার ঐতিহ্যকে অপমান করছে।” চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ও হতাশা প্রকাশ করেন ৷ বিরোধীদের আচরণকে “বেদনাদায়ক এবং অশোভন” বলেও অভিহিত করেন তিনি। ধনকড় এদিন জোর দিয়ে বলেন, “ওয়াকআউট কেবল হাউসের কার্যপদ্ধতির প্রত্যাখ্যানই নয় সাংসদদের নেওয়া সাংবিধানিক শপথের প্রতিও অবজ্ঞার প্রকাশ ৷

লোকসভার পর  বুধবারও  রাজ্যসভায় জবাবি ভাষণ ছিল প্রধানমন্ত্রীর। লোকসভার মতোই রাজ্যসভাতেও এদিন প্রধানমন্ত্রী তৃতীয়বার এনডিএ সরকারের ক্ষমতায় আসার সাফল্যকে তুলে ধরেন। কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধিকে পরোক্ষে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এঁরা সেই মানুষ,  যাঁরা অটো পাইলট এবং রিমোট পাইলট মোডে সরকার চালাতেন । ওরা কাজ করায় বিশ্বাস করে না, শুধু অপেক্ষা করতে জানে। সেখানে আমরা কঠোর পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখিনি। বিগত ১০ বছরে আমরা যা কাজ করেছি, এবার তা আরও বাড়ানো হবে। আমাদের যে স্বপ্ন, তাতে এই ১০ বছর শুধু ভূমিকা  ছিল, এবার মূল কাজ শুরু হবে।”

 বিরোধীদের  আচরণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অবাক হয়ে যাই যে কিছু মানুষ যারা সংবিধান দিবসের বিরোধিতা করেছিল, তারাই সংসদে সংবিধান হাতে নিয়ে সুর চড়াচ্ছে। আমাদের সংবিধান লাইট হাউসের মতো কাজ করে, আমাদের দিশা দেখায়। এর শব্দও আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।