দুই জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ রুখতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করল কংগ্রেস

দিল্লি, ১১ মার্চ –  লোকসভা নির্বাচনের মুখে নির্বাচন কমিশনার অরুণ গয়াল হঠাৎ ইস্তফা দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। নির্বাচন কমিশনারের  ইস্তফা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কংগ্রেস। সূত্র মারফত খবর, আগামী ১৫ মার্চ নতুন দুই কমিশনারকে নিয়োগ করা হবে। এরপরই সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। নতুন দুই জাতীয় নির্বাচন কমিশনারের নিয়োগ রুখতে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছে কংগ্রেস। মোদি সরকার যাতে কোনও ভাবেই নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে হস্তক্ষেপ না করে, সেই আবেদন জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মধ্যপ্রদেশের এক কংগ্রেস নেত্রী। 

এদিকে কেন নির্বাচনের মুখে কেন অরুণ গয়াল ইস্তফা দিলেন, তা নিয়ে বিরোধীরা যেমন প্রশ্ন তুলেছেন, তেমনই এই ইস্তফার কারণ তদন্ত করে দেখার জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছেন ভারত সরকারের প্রাক্তন সচিব ইএএস শর্মা।

গত শনিবার হঠাৎই নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন অরুণ গোয়েল। নির্বাচন কমিশনের তিন জনের বেঞ্চে এখন শুধু রয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। অরুণের ইস্তফা দেওয়ার ফলে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনারের দুই পদ। গত মাসেই  নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে অবসর নেন অনুপ পাণ্ডে।
 
লোকসভা নির্বাচনের আগে কমিশন প্রায় ফাঁকা হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই ইস্তফা দিয়েছেন অরুণ। একজন মাত্র নির্বাচন কমিশনারকে দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিমের বিধানসভা ভোট করানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
 
এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন কমিশনের দুই শূন্যপদে নিয়োগ হতে পারে বলে সূত্রের খবর । সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ মার্চ নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ব্যাপারে বৈঠকে বসতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন প্যানেল। সেই প্যানেলে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও থাকেন তাঁর ঠিক করা এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা। অতীতে এই প্যানেলে থাকতেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু ডিসেম্বরে কেন্দ্র সরকারের আনা নতুন আইন অনুসারে প্যানেল থেকে প্রধান বিচারপতিকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সেই আইন নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিলেন।