কংগ্রেস ও এনসিপি’র জোট ‘কুম্ভকর্ণ’ : মোদি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Photo: IANS)

দিল্লি, ১ এপ্রিল – কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধির কেরলে ওয়াইনাড় থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকে কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দুদের ভয়ে রাহুল গান্ধিকে কেরলে চলে যেতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেরলের ওয়াইনাড়থেকে রাহুল গান্ধির ভোটে দাঁড়ান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘শান্তিপ্রিয় হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মকে অপমান করেছে কংগ্রেস। হিন্দুদের ভয়ে কেরলে যাচ্ছেন কংগ্রেস সভাপতি। সংখ্যাগুরু কেন্দ্র থেকে লড়তে তিনি ভয় পাচ্ছেন’।

মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী জনসভায় মোদি জানিয়েছেন, ‘হিন্দু সন্ত্রাস শব্দটি প্রচলন করেছে কংগ্রেস। হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু ইতিহাস ঘাঁটলে কখনও দেখা যাবে না হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদী ঘটনা ঘটাতে? হিন্দুরা কখনই ক্ষমা করবে না কংগ্রেসকে। মোদি আরও বলেন, ‘হিন্দুদের কংগ্রেস যেভাবে অপমান করেছে নির্বাচনে ওদের শায়েস্তা করবেন মানুষ। তাই হিন্দু সংখ্যাগুরু কেন্দ্রে লড়াই করতে ভয় পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা’। পুলওয়ামা কাণ্ড উল্লেখ করে মোদির অভিযোগ, ‘কংগ্রেস এবং জাতীয় কংগ্রেস সেনাদের সাহস নিয়ে যেভাবে প্রশ্ন তুলেছে আদৌপে তাঁরা সেনাদেরই অপমানই করেছে’।

এদিন তিনি এনসিপির সমালোচনা করতেও ছাড়েননি। শরদ পাওয়ার দেশের সবচেয়ে প্রবীণ নেতা। বিবেচনা না করে তিনি কোনও কাজ করেন না। একটা সময় প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতেন। এখন আর ভোটে লড়ার কথা বলান না। তিনিও জানেন কী হতে চলেছে। মহারাষ্ট্রের সভা থেকে এই ভাষাতেই এনসিপি প্রধাকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, এনসিপিতে পারিবারিক বিবাদ বাড়ছে। ভাইপো, কাকার হাত থেকে দলের রাশ টেনে নিচ্ছেন। ক্ষমতা পাওয়ার লোভে বিবাদের জেরে পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাশ হয়ে যাচ্ছেন।


বিগত দিনে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস এবং এনসিপির যে সরকার চলত তাকে কুম্ভকর্ণের সঙ্গে তুলনা করে মোদি বলেন, সেচ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়। দুই সঙ্গী ছ’মাস ধরে ঘুমিয়ে থাকে। তারপর উঠে মানুষের অর্থ লুঠ করে। মোদি বলেন, আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলি চালিয়েছে পাওয়ার পরিবার। নিজে কৃষক হয়েও কৃষকদের কথা ভাবেননি শরদ পাওয়ার। দশ বছর কেন্দ্রের কৃষিমন্ত্রী থাকার পরও মহারাষ্ট্রের কৃষকদের তিনি বঞ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, পাওয়ার পরিবারকে সুবিধা দিতে এনসিপি নেতাদের অবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কৃষকদের ন্যায় দাবি দিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশের চৌকিদার মহারাষ্ট্রের কৃষক থেকে শুরু করে বাকি জায়গায় কৃষকদের পাশে আছে।