• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা যাবে না’, জানিয়ে দিল ট্রাইবুনাল

দিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের মুখে অবশেষে স্বস্তি পেল শতাব্দী প্রাচীন দলটি। আয়কর দপ্তরের ফ্রিজ করে দেওয়া দলের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ ট্রাইবুনালের। আজ শুক্রবার আয়কর সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনালের রায়ে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা যাবে না’। আজ শুক্রবার দিল্লি আপিল ট্রাইবুনাল বেঞ্চ জানিয়েছে, আয়কর দফতর তাঁদের দলের কোনও

দিল্লি, ১৬ ফেব্রুয়ারি: লোকসভা ভোটের মুখে অবশেষে স্বস্তি পেল শতাব্দী প্রাচীন দলটি। আয়কর দপ্তরের ফ্রিজ করে দেওয়া দলের চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ ট্রাইবুনালের। আজ শুক্রবার আয়কর সংক্রান্ত আপিল ট্রাইবুনালের রায়ে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেসের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা যাবে না’। আজ শুক্রবার দিল্লি আপিল ট্রাইবুনাল বেঞ্চ জানিয়েছে, আয়কর দফতর তাঁদের দলের কোনও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করতে পারবে না। অ্যাকাউন্টগুলিতে স্বাভাবিকভাবে লেনদেন চালানো যাবে। দলের আইনজীবী সেলের নেতা বিবেক তঙ্খা এই দাবি করেছেন।

কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন শুক্রবার সকালে অভিযোগ করেন, যুব কংগ্রেস-সহ শাখা সংগঠনগুলির কাছে আয়কর রিটার্ন সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে ২১০ কোটি টাকা জরিমানার দাবি জানানো হয়েছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের তরফে। বিষয়টি এখন আয়কর ‘অ্যাপিলেট ট্রাইবুনাল’-এর বিচারাধীন। এর মধ্যেই বেআইনিভাবে পদক্ষেপ করে আয়কর দপ্তর দলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করে দিয়েছে।

এব্যাপারে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র অজয় মাকেন আজ বলেন, গণতন্ত্র আজ আক্রান্ত। লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেসকে বিপদে ফেলতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দিয়েছে আয়কর দপ্তর। এমনকি যুব কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার একাধিক চেক ফেরত আসায় বিষয়টি তাঁদের নজরে পড়ে।

মাকেন বলেন, তাঁরা ইনকাম ট্যাক্স ট্রাইব্যুনালে সুবিচার চেয়ে আবেদন করেছেন। বিচার বিভাগ এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছেও তাঁরা সুবিচার চাইছেন। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে বিদ্যুৎ বিল ও কর্মীদের বেতন দেওয়ার মতো টাকা নেই। আয়কর দপ্তরের দাবি নিয়ে তাঁরা আইনি পথে লড়াই চালাচ্ছিলেন। অথচ হঠাৎ বিনা নোটিসে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মাকেন বলেন,’নির্বাচনের মুখে বিরোধী দলের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া গণতন্ত্রকেই ফ্রিজ করে দেওয়ার সামিল।’

এবিষয়ে কংগ্রেস নেতারা অভিযোগ করেছেন, ইলেক্টোরাল বন্ড বাতিল হতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে বিজেপি। সেই কারণে বিরোধী দলকে নিশানা করছে মোদি সরকার। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, বন্ধ হওয়া চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রাপ্য মেটানো হয়েছিল। আয়কর দপ্তরের সিদ্ধান্তে সেইসব পাওনাদাররাও বিপদে পড়েছেন।

এবিষয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, দলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অর্থ দেশের গণতন্ত্রের চূড়ান্ত মর্যাদা হানি করা। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা ফের বলেন, “বিজেপির সংগৃহীত ‘অসাংবিধানিক’ অর্থ তারা নির্বাচনের জন্য ব্যবহার করবে, অথচ ‘ক্রাউডফান্ডিং’-এর মাধ্যমে আমাদের সংগৃহীত অর্থ ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। তাই বলছি ভবিষ্যতে আর কোনও নির্বাচন হবে না। এব্যাপারে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দল রাজপথে নামবে এবং স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে।”