রবিবারের সঙ্গে তিনি সকালেই গোটা সঙ্গীত জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। গোটা ভারতবর্ষ শোকাহত লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে। যুগের অবসান। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি সকলেই শোক জ্ঞাপন করেছন।
রবিবার সকালে ৯২ বছর বয়সেই ছেড়ে চলে গেলেন সুর সম্রাজ্ঞী। ২৮ দিন ধরে করোনার লড়াই করেছেন হাসপাতালের বেডে। সঙ্গে ছিল ফুসফুসে সংক্রমণও।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোক বার্তা আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন ভাগ করে নিলেন তাঁর সঙ্গে লতা মঙ্গেশকরের সম্পর্ক।
তিনি লেখেন, ‘আমি লতা দিদির কাছ থেকে সবসময় অগাধ স্নেহ পেয়েছি এটাকে আমি আমার সম্মান বলে মনে করি। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক অবিস্মরণীয় থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কতটা ব্যথিত তা ভাষা দিয়ে বোঝাতে পারব না। দয়ালু এবং যত্নশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তিনি আমাদের দেশে একটি শূন্যতা রেখে গেলেন যা পূরণ করা যাবে না।
ভবিষ্যত প্রজন্ম তাঁকে ভারতীয় সংস্কৃতির একজন অকুতোভয় হিসেবে মনে রাখবে, যার সুরেলা কণ্ঠে মানুষকে। মন্ত্রমুগ্ধ করার এক অতুলনীয় ক্ষমতা ছিল।’ এখানেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘লতা দিদির গান বিভিন্ন ধরনের আবেগকে প্রকাশ করেছে। তিনি কয়েক দশক ধরে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের পরিবর্তন ঘনিষ্ঠভাবে চলচ্চিত্রের বাইরে, তিনি সর্বদা ভারতের বৃদ্ধি সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন। তিনি সবসময় একটি শক্তিশালী ও উন্নত ভারত দেখতে চেয়েছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও ভারতীয় সঙ্গীত জগতের এই জাদুকরের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। তিনি লেখেন, ‘এমন শিল্পীর জন্ম শতাব্দীতে একজনেরই হয়। লতা-দিদি ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। ঐশ্বরিক কণ্ঠ চিরকালের জন্য শান্ত হয়ে গেছে কিন্তু তার সুর অমর হয়ে থাকবে, অনন্তকাল ধরে প্রতিধ্বনিত হবে।
তিনি আরও লেখেন, ‘তাঁর গানের বিশাল পরিসরে, ভারতের সারমর্ম এবং সৌন্দর্যকে উপস্থাপন করে। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে যা শিক্ষণীয়। একজন ভারতরত্ন, লতাজির কৃতিত্ব অতুলনীয় থাকবে।’ প্রত্যক্ষ করেছেন।