বাংলাদেশে চরম সঙ্কটে হিন্দুরা। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারতও। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার প্রতিবেশী দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে সংসদে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংসদে এই নিয়ে বক্তব্যও রাখতে পারেন জয়শঙ্কর। ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারির পর থেকেই উত্তাল বাংলাদেশ। প্রতিবাদের আঁচ এসে লেগেছে এপার বাংলাতেও। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারি নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে দ্রুত চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জেল থেকে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং জামিন না পাওয়ার ঘটনাকে আমরা যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি। ইনি বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ মঞ্চের প্রধান মুখ। আমরা বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাচ্ছি বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু এবং অন্যান্য সমস্ত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক।’
বৃহস্পতিবার সংসদে বৈঠকে বসেন মোদি ও জয়শংকর। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা হতে পারে সংসদে। সরকারের তরফেও বিবৃতি দেওয়া হতে পারে। বিরোধী সূত্রের খবর, আলোচনা হলে কোন আপত্তি নেই , তবে তুলে ধরা হতে পারে এদিনের কার্যবিবরণীতে অধ্যক্ষ ওম বিড়লার উক্তি। সংসদে আদানি ইস্যুতে যখন বিরোধীরা সরব তখন তিনি বলেন, “যে বিষয়ের সঙ্গে দেশের কোনও সম্পর্ক নেই, তা নিয়ে কীভাবে আলোচনা হতে পারে?”
গত সোমবার ২৫ নভেম্বর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে চিন্ময় প্রভুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার পুলিশ। তাঁর জামিনের আবেদনও খারিজ করা হয়। হিন্দুদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদের নেতৃত্বে ছিলেন চিন্ময় প্রভু। চট্টগ্রামের মিছিলে তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাকে অসম্মানের অভিযোগ আনে ইউনুস সরকার। চিন্ময় প্রভুর পর চট্টগ্রাম থেকে সনাতন ধর্মের আরেক সন্ন্যাসী স্বরূপ দাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে দায়ের হয়েছে মামলাও। যদিও সেই আবেদন খারিজ করেছে আদালত।