রাইফেল উচিয়ে কালো পোশাকের কম্যান্ডারা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছে। পুলিশের গাড়ি থেকে অবিরাম চলছে মাইক প্রচার। কাশ্মীর উপত্যকায় এই ছবি দেখতে আমজনতা অভ্যস্ত। কিন্তু এই ছবি আসলে রেলের করোনা কবলিত পুস্তরার। রাজধানী তিরুঅনন্তপুরমের সামান্য দূরে এই উপকুলীয় গ্রামে কোভিড ১৯-এর সংক্রমণ রুখতে এমনই তৎপরতা নেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। কেরল পুলিশের বাহিনীতে রয়েছেন ১৮ জন কম্যান্ডো।
গ্রামবাসীদের মাইকে সতর্ক করা হচ্ছে লকডাউন মেনে চলার জন্য। বলা হচ্ছে বাড়ি থেকে না বেরনোর কথা। কেউ এর অন্যথা করলে অ্যাম্বুলেন্সে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোভিড ১৯ কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। প্রতিরোধ যাতে না করতে পারে কেউ তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে কম্যান্ডো।
করোনা মোকাবিলা টিমের তরফে জানা গিয়েছে, কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত কোনও ব্যক্তি যদি ৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়ান তাকে বলা হয় ‘সুপার স্প্রেডার’। পুস্তুরায় এরকম বেশ কয়েকজন রয়েছেন। সেই কারণে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
গত পাঁচদিনে ৬০০ জনের সোয়াব টেস্ট হয়েছিল ওই গ্রামে। তার মধ্যে ১১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এই গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ হয় মাছ ধরার মধ্য দিয়ে। মূলত সবাই মৎস্যজীবী। নৌকায় সমুদ্রে মাছ ধরতে যান তারা।
বিভিন্ন মাছের আড়তে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে নিয়মিত। এক মাছব্যবসায়ী সুত্রে পুস্তরার মৎস্যজীবীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে সরকারি সুত্রে জানা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পুস্তরার শতাধিক ব্যক্তিকে প্রশাসন চিহ্নিত করে অন্যদের থেকে আলাদা করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।