দিল্লি, ২৪ জুলাই -অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করার পর থেকেই এই বাজেটকে ‘কুর্সি বাঁচানোর বাজেট’ বলে তোপ দাগতে দেখা দিয়েছিল বিরোধীদের। বুধবার সকাল থেকেও সংসদের বাইরে সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ দেখান ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। তার জবাবে রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রীর দাবি , বাজেটে কোনও রাজ্যকেই অবহেলা করা হয়নি। বিরোধীরা দেশের নাগরিকদের বিভ্রান্ত করতে চাইছে। তাঁর ভাষণের পরই রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিরোধী সাংসদরা।
এদিন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি , কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বর্ষীয়ান নেত্রী সোনিয়া গান্ধি ছাড়াও তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব-সহ ডিএমকে ও বাম সাংসদরা যোগ দেন বিক্ষোভে। তাঁদের দাবি, ”আমরা ইন্ডিয়া বাজেট চাই, এনডিএ বাজেট নয়।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কংগ্রেস দাবি করে, এই বাজেট আসলে এনডিএর শরিকদের খুশি করার বাজেট। কংগ্রেস ভোটের আগে যে ন্যায়পত্র ঘোষণা করেছিল, সেখান থেকেই হুবহু নকল করা। একই দাবি করে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টির মতো দলগুলিও।সেই বিক্ষোভের রেশ বজায় থাকল বুধবারও। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের আক্রমণ করেন অর্থমন্ত্রী। তবে তাতেও বিরোধীরা থেমে যাননি। নির্মলার বক্তৃতার আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে বক্তৃতা করার সময় বলেন, ‘‘দু’টি রাজ্য ছাড়া দেশের কোনও রাজ্যই এই বাজেটে উপকৃত হয়নি। সকলের থালা খালি রেখে দু’টি রাজ্যের থালা পকোড়া এবং জিলেপি দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’
বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে রাজ্যসভায় নির্মলা বলেন, ”প্রতিটা বাজেটে দেশের সমস্ত রাজ্যকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না।” পরে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের ভন্ধাভনে একটি বন্দর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। কিন্তু বাজেট ভাষণে আলাদা করে মহারাষ্ট্রের নাম উল্লিখিত হয়নি। এই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রীর প্রশ্ন, ”তার মানে কি মহারাষ্ট্রকে অবহেলা করা হয়েছে? এটা কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের ইচ্ছাকৃত প্রয়াস মানুষকে বোঝানোর যে, আমাদের রাজ্যগুলিকে অবহেলা করা হয়েছে? এটি একটি আপত্তিকর অভিযোগ।”
মঙ্গলবার বাজেট পেশ হওয়ার পর সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। সেই বৈঠকেই স্থির হয়েছিল, বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে।