নরেন্দ্র দাভােলকর ও গৌরী লঙ্কেশের হত্যাকারী একই। আপাতত সে কর্নাটক পুলিশের জিম্মায় আছে। সে সবক’টি খুনের বিস্তারিত কাহিনী শেনাচ্ছে। হত্যাকারীর নাম শারদ কালাসকর।
আততায়ীরা সকলেই গােয়ার সনাতন সংস্থা বা হিন্দু জনজাগৃতির সদস্য বলে জানিয়েছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্রের তদন্তকারী পুলিশ ও এই সহ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা সংস্থা সিবিআই।
সনাতন হিন্দু ধর্মের সমালােচনার জন্যই মরতে হয়েছে নরেন্দ্র দাভােলকর, গৌরী লঙ্কেশ, পানেসর এবং এমএম কালবুর্গিকে। এদের সবার হত্যার সঙ্গেই হিন্দু জনজাগৃতিই জড়িত বলে একমত হয়েছে তদন্তকারী সব দল।
দাভােলকরের হত্যার গল্পের পর এবার কালাসকর শুনিয়েছে গৌরী হত্যার কাহিনী।
কালাসকর জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ডের কোড নেম ছিল ইভেন্ট। এমনকী কালাসকর, পরশুরাম ওয়াঘরা গৌরীকে হত্যার জন্য ১৫-২০ দিন পাহাড়ে উঠে বন্দুক চালানাের প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।
সুপরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় এই হত্যাকাণ্ডগুলি হয়েছে। এমনটাই পুলিশি জেরায় জানায় শরদ কালাসকর। তবে এদের হত্যা করে তার বিন্দুমাত্র অনুতাপ নেই বলেও জানিয়েছে সে।
তার সােজা কথা— বিধর্মীদের হয়ে যারাই কথা বলবে, তাদেরই খুন করা হবে।
গৌরী লঙ্কেশ হত্যার ছক তারা কর্নাটকের বেলগামে এক বৈটকে বসে চুড়ান্ত করেছিল বলে জেরায় জানিয়েছে কালাসকর।
কর্নাটক পুলিশকে সে সবিস্তারে গৌরী খুনের কাহিনী বর্ণনা করেছে। এই খুনের পকিল্পনা ছ’মাস আগেই চুড়ান্ত হয়ে যায়। এই অভিযানের নাম দেয়া হয়েছিল ইভেন্ট। কালাসকরের ওপরই খুনের পরিকল্পনার যাবতীয় দায়িত্ব ছিল। তাকে এই হত্যাকাণ্ডে সাহায্য করেছিল ওয়াঘমারে।
খুনের বন্দুকগুলাে কালাসকরই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলেছিল সেগুলি মুম্বই, নাসিকের বিভিন্ন জায়গায় টুকরাে টুকরাে করে ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে পুলিশকে জানায় সে।
গৌরীকে হত্যার জন্য সে ছ’মাস বেঙ্গালুরুতে বাড়ি ভাড়া করে ছিল। তার সঙ্গে ওয়াঘমারেও ছিল। খুনের এক মাস আগে থেকে লঙ্কেশের ওপর নিয়মিত নজরদারি চালাত সে।
উল্লেখ্য অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার নাল্লাসপােরায় বােমা, অস্ত্রশস্ত্রসহ শারদ কালাসকর, পরশুরাম ওয়াঘমারেদের গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত আটটা নাগাদ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়ির সামনে নিহত হয়েছিলেন সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশ।