ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নাম সুপারিশ করেছেন। গত শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকার বিদায়ী প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি লিখেছিল। সেই চিঠিতে তাঁকে মেমোরেন্ডাম অফ প্রসিডিউর অনুযায়ী সুপারিশ পাঠাতে বলা হয়। ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাগ্নে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৯ সালে ১৮ জানুয়ারি তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করা হয়েছিল। নিরপেক্ষতা এবং আইনি পাণ্ডিত্যের জন্য বিশেষ পরিচিতি রয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।
১৯৬০ সালের ১৪ মে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা বিচারপতি দেব রাজ খান্নাও দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে অবসর নিয়েছেন। তাঁর মা সরোজ খান্না দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচারার ছিলেন। দিল্লিতেই পড়াশোনা করেছেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। ১৯৮০ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর আইনে ভর্তি হন।
আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার পর ১৯৮৩ সালে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দিল্লির বার কাউন্সিলে একজন আইনজীবী হিসেবে নথিভুক্ত হন। প্রাথমিকভাবে দিল্লির তিস হাজারী ক্যাম্পাস, পরে দিল্লি হাইকোর্টে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুশীলন করেন। ২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি করা হয় তাঁকে।
২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৯ সালে ১৮ জানুয়ারি তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছিল। বয়স ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে অন্যান্য বিচারপতিরা তাঁর চেয়ে সিনিয়র হওয়া সত্ত্বেও, তিনি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন।