লদাখ, ৪ মে– প্যাংগং, আকসাইয়ের পর ভারতের শাকসগাম উপত্যকায় এবার ড্রাগনের নজর৷ বছর কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর জুডে় চিনা ফৌজের সেতু নির্মাণের তৎপরতা দেখা গিয়েছিল উপগ্রহ চিত্রে৷ এর পরে ম্যাক্সার প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্রেও খোঁজ মিলেছিল, আকসাই চিন এলাকায় লাল ফৌজ স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় বড় সুড়ঙ্গের৷ এবার ফের নতুন কীর্তি চিনের৷ অধিকৃত শাকসগাম উপত্যকায় রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ করছে চিন৷ যা জানার পর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত৷
সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্রগুলোতে দেখা যাচ্ছে, চিন এমন একটি রাস্তা তৈরি করেছে, যা শাকসগাম উপত্যকার নীচের দিকে প্রবেশ করেছে৷ এবং সিয়াচেন হিমবাহ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকেছে যা ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ৷ জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ওই রাস্তাটির কাজ শুরু হয়৷
এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘বাস্তবে তথ্য পাল্টানোর চেষ্টা করছে চিন৷ আমরা এই বেআইনি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে চিনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি৷ শাকসগাম উপত্যকা ভারতের ভূখণ্ডের অংশ৷’ লাদাখে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাকসগাম উপত্যকায় চিনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র রাস্তা এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের খবর প্রকাশ্যে আসার পরই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷
উল্লেখ্য, কারাকোরাম ওয়াটারশেডের ৫,২০০ বর্গ কিলোমিটার উত্তরে একটি এলাকা শাকসগাম উপত্যকা-সহ শাকসগাম ট্র্যাক্ট নামে পরিচিত৷ ১৯৪৭ সাল থেকে এটি পাকিস্তানের দখলে ছিল৷ পরবর্তীতে পাক সরকার এটি চিনকে হস্তান্তর করে দেয়৷ কিন্ত্ত শাকসগাম উপত্যকাকে ভারত পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের অংশ বলে দাবি করে৷