লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা থেকে চিনা বাহিনী আর পিছু হঠতে চাইছেনা। উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা লঙঘন থেকেও বিরত হয়নি চিনা সেনা। বাইশ জুন কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠকে সেনা সংখ্যা কমান এবং মুখোমুখি অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হলেও তা উপেক্ষা করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি।
এই পরিস্থিতিতে লাদাখের অবস্থা পর্যালোচনার জন্য কেন্দ্রের চায়না স্টাডি গ্রুপ (সিএসজি) বৈঠক করছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নেতৃত্বাধীন এই গোষ্ঠীতে রয়েছেন সেনা প্রধান, স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ক্যাবিনেট সচিব এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। ১৯৯৭ সালে গঠিত সিএসজির ঘোষিত সরকারি স্বীকৃতি নেই। কিন্তু চিন সম্পর্কিত নীতি ও কৌশলগত অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
গালওয়ানে পনেরো জুনের সংঘর্ষে কুড়ি জন জওয়ানকে পরিকল্পিতভাবে চিনা সেনা ভোতা অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের পর দু’পক্ষে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও চিন সেনা সরানো দূরের কথা গত সপ্তাহে চিনা সেনা ছাউনির সংখ্যা আরও বেড়েছে।
উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, গোগরার হট স্প্রিং এলাকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তরে ফিঙ্গার পয়েন্ট আট থেকে চার পর্যন্ত কংক্রিটের বাঙ্কার বানিয়ে বসে রয়েছে চিন সেনা। দৌলত বেগ ওল্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটির দক্ষিণে দেপসাং উপত্যকায় এলএসি পেরিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার ঢুকে এসেছে লাল ফৌজ বলে অভিযোগ। ওয়াই-জংশনে ডেরা বেঁধেছে তারা। ফলে ভারতীয় বাহিনীর পেট্রোলিং পয়েন্ট দশ এবং তেরোতে যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।