হাসিমারা, ৩০ মে – সিকিম সীমান্তের কাছে যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিন। সিকিম সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫০ কিমি দূরে, হাসিমারা বিমানঘাঁটি থেকে ২৯০ কিমি দূরে অত্যাধুনিক জে-২০ স্টিল্থ জেট মোতায়েন করেছে চিন।এদিকে হাসিমারাতেই ভারত রাফাল যুদ্ধবিমান রেখেছে। গত ২৭ মে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে ৬টি স্টিল্থ জেট ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা আছে। তবে এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে চিনা বিমানবাহিনীর জে-২০ জেট বিমানের জুড়ি মেলা ভার। এর প্রযুক্তি এমন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যে , এই বিমান রাডারের চোখে ধুলো দিয়ে প্রায় নিঃশব্দে শত্রুর মাথার উপর দিয়ে নিমেষে উড়ে যেতে সক্ষম।
দিল্লির কুর্সি দখলের লড়াইয়ে যখন দেশের রাজনৈতিক দলগুলি যখন একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে ব্যস্ত, তখন প্রায় সকলের অলক্ষ্যে সিকিম সংলগ্ন এলাকায় অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহরা ভোটপ্রচারে পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গি নিকেশ নিয়ে ভাষণ চড়ালেও, চিন যে সংগোপনে সিকিমের নাকের ডগায় জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে তা প্রকাশ্যে এল।
জে-২০ সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪৬৮ কিমি। আকাশে একবারে ৫৯২৬ কিমি চক্কর দিতে পারে। অ্যাভিয়েশন ওয়েবসাইট অ্যারো কর্নারের তথ্য অনুযায়ী, এফ-৩৫এ-র সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১৯৬০ কিমি। একবারে চক্কর দিতে পারে ২২০০ কিমি। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, চিনা বিমানবাহিনীর ৬টি জে-২০ বিমান দাঁড়িয়ে রয়েছে তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসে-তে। এই বিমানবন্দর সামরিক ও অসামরিক দুই উড়ানের ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়।
১২ হাজার ৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই বিমানবন্দর বিশ্বের সর্বোচ্চ বিমানবন্দর। জে-২০কে রোখার মতো উপযুক্ত ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ভারতের কাছে থাকলেও আজকের দিন পর্যন্ত চিনের এই জেটের ধারেকাছে কেউ নেই।