সুপ্রিম কোর্টের আদেশানুসারে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা ভোট করাতে হবে। বর্তমানে চলছে সেখানে সেই ভোট করানোর প্রস্তুতি। সেই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বৃস্পতিবার শ্রীনগরে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে কমিশনের ওই দল দু’দিন থাকবে কাশ্মীর উপত্যকায়। নির্বাচনের আগে কী ভাবছে সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি, তা বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে পৌঁছেই রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একপ্রস্ত বৈঠকে বসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নেতাদের মতামত গ্রহণের পর রাজ্যের ২০টি জেলার পুলিশকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনায় বসবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও তাঁর দল।
জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটের জন্য সুপ্রিম কোর্ট অনেক দিন আগেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল অসাংবিধানিক নয়। সে দিনই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোট করাতে হবে। সেই মতো কমিশনের প্রস্তুতি।
কাশ্মীরের পরিস্থিতিগত সমস্যার কারণে দীর্ঘ দিন বিধানসভা নির্বাচন হয়নি। সেখানে শেষ বিধানসভা ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। এর পরে ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্তি হয় এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়- একটি জম্মু ও কাশ্মীর, অন্যটি লাদাখ। পরে সুপ্রিম কোর্ট যখন রায় দেয় অনুচ্ছেদ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক, তখনই শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল জন্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, গত মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করেছিলেন, শীঘ্রই জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন হবে।