আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় জামিন পেলেন চিদম্বরম

পি চিদম্বরম (Photo: IANS)

আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন পি চিদম্বরম। বর্তমানে তিনি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে রয়েছেন। ওই দুর্নীতি মামলায় ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে জামিন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যদিও ৭৪ বছর বয়সি ওই কংগ্রেস নেতা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতেই থাকবেন বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, চিদম্বরমকে ‘অন্য কোনও মামলায় প্রয়ােজন না হলে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে’। আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ৭৪ বছর বয়সি ওই কংগ্রেস নেতাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে পাঠায় দিল্লির একটি বিশেষ আদালত। এর আগে ওই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দিল্লির তিহার জেলে ছিলেন। গত সপ্তাহে তিহার জেল থেকে তাঁকে ইডির হেফাজতে নিয়ে আসা হয়।

পি চিদম্বরমকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তদন্ত সংস্থার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। পাশাপাশি প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে বাড়ির রান্না করা খাবার, একটি পৃথক সেল, পশ্চিমী কায়দায় শৌচাগার, চশমা ও ওষুধ দেওয়ার অনুমতিও দেয় আদালত। তবে চিদম্বরমকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে রাখার জন্য তাঁর অনুরােধের বিরােধিতা করে ইডি।


পাশাপাশি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী চিদম্বরমকে প্রতিদিন আধ ঘণ্টার জন্য তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হেফাজতে পাঠায় দিল্লি আদালত।

প্রাক্তন মিডিয়া ব্যারন পিটার মুখােপাধ্যায়ের স্ত্রী ইন্দ্রাণী মুখােপাধ্যায়ের বয়ানের ভিত্তিতেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিদম্বরম এবং তাঁর পুত্র কীর্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে মামলাটি সাজায় ইডি। ওই দু’জনেই তখন আইএনএক্স মিডিয়া নামক টেলিভিশন সংস্থাটির প্রধান ছিলেন। ওই সংস্থার জন্যই চিদম্বরম ইউপিএ সরকারের অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন বৈদেশিক তহবিলের অনুমােদনে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযােগ উঠেছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে কীর্তি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযােগ যে তিনি এই চুক্তির বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের ঘুষ পেয়েছিলেন। যদিও চিদম্বরম এই সমস্ত অভিযােগ অস্বীকার করে বলেছেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। এমনকী ইন্দ্রাণী মুখােপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি কোনও দিন দেখা করেননি বলেও দাবি করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।